স্বতন্ত্ররা নিজেদের পিটিআই সদস্য দাবি করতে পারবেন?
আইনজীবী আবদুল ময়েজ জাফরি বলেন, নির্বাচন কমিশন পিটিআইকে প্রতীক ব্যবহারের অনুমতি বাতিল করেছে, তবে দলকে তালিকা থেকে বাদ দেয়নি। আইনিভাবে এখনো বৈধ রাজনৈতিক দল পিটিআই।
পিটিআই সমর্থিত প্রার্থী সালমান আকরাম রাজার প্রসঙ্গ টেনে এই আইনজীবী বলেন, স্বতন্ত্র নয়, বরং পিটিআই প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সালমান। পিটিশনে সালমানের যুক্তি ছিল, পিটিআইকে প্রতীক ব্যবহারের অনুমতি না দিলেও একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে এর অস্তিত্ব ও কার্যক্রমে কোনো প্রভাব পড়েনি।
স্বতন্ত্রদের সমর্থন নিতে পারবে পিএমএল-এন?
সাংবাদিক জারার খুহরো বলেন, ‘অনেকেই তাঁদের সঙ্গে জোট গড়তে আগ্রহী। সব স্বতন্ত্র প্রার্থী কী করবেন, তা নিয়ে ঢালাওভাবে কথা বলতে দ্বিধা হচ্ছে আমার।’
তিনি বলেন, তবে এটি অঞ্চলভেদে ভিন্ন হবে। খাইবারপাখতুনখোয়ায় পিটিআই ছেড়ে যাওয়া নেতাদের গ্রহণ করবে না জনগণ। দক্ষিণ পাঞ্জাবে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা হতে পারে। সেখানে পিএমএল-এন কিছু স্বতন্ত্র প্রার্থীকে দলে ভেড়াতে পারে। সাময়িক হয়রানির শিকার হওয়া লাগতে পারে, এমন সমীকরণ মাথায় নিয়ে অনেকে বিজয়ীদের দলে যোগ না-ও দিতে পারেন।
স্বতন্ত্ররা প্রধানমন্ত্রী বাছাই করতে পারবেন?
সাংবাদিক শাহজেব জিলানির মতে, নির্বাচিত হওয়ার পর স্বতন্ত্র প্রার্থীরা স্বাধীনভাবে কোনো দলকে সমর্থন করবেন, না ঐক্যবদ্ধভাবে কোনো দলে যোগ দেবেন, তা নির্ধারণে তিন দিন সময় পাবেন।
তিনি বলেন, যদি পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ হতে চান, তাহলে তাঁদের বিদ্যমান রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে হবে। মজলিস ওয়াহদাত-ই-মুসলিমিন (এমডাব্লিউএম) নামের একটি দলের কথা শোনা যাচ্ছে, যা এরই মধ্যে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল।
তিনি বলেন, এর আগে স্থানীয় নির্বাচনে দুটি দল জোট বেঁধেছিল। স্বতন্ত্ররা যদি ওই দলে যোগ দেন, তাহলে তাঁরা সংরক্ষিত আসন পাবেন। এতে পার্লামেন্টে তাঁদের সংখ্যা বাড়বে এবং পার্লামেন্টের নেতা হওয়ার প্রতিযোগিতা করতে পারবেন।
স্বতন্ত্ররা বিরোধী নেতা নির্বাচিত করতে পারবেন?
শাহজিব জিলানির ভাষ্য, এ জন্য পিটিআই সমর্থিতদের রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে হবে। তাঁরা যদি বিদ্যমান দলগুলোর একটিতে যোগ দেন এবং সংখ্যায় বেশি থাকেন, তাহলে অবশ্যই পার্লামেন্টের নেতা নির্বাচিত করতে চাইবেন। আর যদি না পারেন, তাহলে বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচনের সুযোগ থাকবে তাঁদের সামনে।