NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, মে ১, ২০২৫ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
৫০ কোটির প্রকল্প ২৫ কোটিতেই সম্পন্ন, প্রধান উপদেষ্টার প্রশংসা আলজেরিয়ার সঙ্গে দ্রুত পারস্পরিক ভিসা অব্যাহতি চুক্তি করা হবে - স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মহান মে দিবস আজ আমি পোপ হতে চাই, এটাই এক নম্বর পছন্দ: ট্রাম্প ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা, ১০ ফ্লাইট বাতিল করলো পিআইএ তিন নায়কের প্রতিদ্বন্দ্বিতা, জমজমাট ঢালিউড চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ ত্বরান্বিত করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার মেধাসম্পদ সংরক্ষণ ও সুরক্ষায় নিরলস কাজ করছে সরকার - আদিলুর রহমান জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়ে প্রতিশোধ বাংলাদেশের ট্রাম্পের ১০০ দিন ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিতে বদলে যাচ্ছে বিশ্বব্যবস্থা
Logo
logo

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি এখনো অনেক দূরে


খবর   প্রকাশিত:  ০৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪, ০৯:২৭ পিএম

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি এখনো অনেক দূরে

যুদ্ধবিরতির আলোচনায় যোগ দিতে পারেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। তবে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতির আলোচনা এখনো কোনো সমাধানে পৌঁছাতে পারেনি। ইসরায়েল স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে যেতে নারাজ। আবার হামাস চায় ইসরায়েলকে স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে যেতে হবে।

ইসরায়েল সমস্ত জিম্মিদের মুক্তি চায়। হামাসের বক্তব্য, সব ফিলিস্তিনি বন্দিদের বিনিময়ে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে। কিন্তু নেতানিয়াহু এখনো এই বক্তব্য মেনে নেননি। 

 

সংঘাত বিষয়ক একটি সংস্থার প্রধান অলিভার ম্যাকটারনান ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ‘প্যারিসে যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে বৈঠক হয়েছে, তা কোনো সমাধানে পৌঁছাতে পারেনি।

মূলত, আলোচনা এখনো প্রাথমিক পর্যায়েই আছে।’ যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, মিসর এবং ইসরায়েলের প্রতিনিধিরা ওই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। বৈঠকের সিদ্ধান্ত হামাসকে পাঠানো হয়েছিল। সাময়িক যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তির দাবি ছিল সেই সিদ্ধান্তে।
হামাস এখনো পর্যন্ত তা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।

 

হামাসের সূত্র অবশ্য সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে যে, ওই সিদ্ধান্তের সঙ্গে তারা সহমত নয়। তাদের দাবিগুলো সামনে এনেছে হামাস। সেখানে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের কারাগারে যত ফিলিস্তিনি বন্দি আছে, সকলকে মুক্তি দিতে হবে। তার বিনিময়ে সমস্ত ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে।

তাছাড়া স্থায়ী যুদ্ধবিরতির রাস্তায় যেতে হবে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু অবশ্য সে পথে হাঁটতে নারাজ। সব ফিলিস্তিনি বন্দিকে তিনি মুক্তি দিতে চান না। স্থানীয় সংঘর্ষ বিরতির রাস্তাতেও হাঁটতে চায় না ইসরায়েল।

 

এই পরিস্থিতির মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যে যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। দুইপক্ষের আলোচনায় তিনিও যোগ দিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। কীভাবে একটি সমাধানে পৌঁছানো যায়, সেই ব্যবস্থা করতে পারেন ব্লিংকেন। এদিকে ম্যাকটারনানের বক্তব্য, এখনো পর্যন্ত এই সংঘর্ষ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এক আশ্চর্য ভূমিকা পালন করছে। একদিকে যেমন তারা গাজার সাধারণ মানুষের কথা বলছে, অন্যদিকে ইসরায়েলকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করছে। নেতানিয়াহুকে টিকিয়ে রাখতে রাজনৈতিক সমর্থন দেওয়া হচ্ছে।

ম্যাকটারনানের বক্তব্য, সময় এসেছে, এবার ব্লিকংনেকে বলতে হবে, অনেক হয়েছে আর নয়। ইসরায়েলকে আর অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করা যাবে না। রাজনৈতিক সমর্থন দেওয়া হবে না। যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। গাজার বেসামরিক মানুষকে সুরক্ষা দিতে হবে কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এখনো সে পথে হাঁটছে না।