মোট ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ২৪টি।
এদিকে নির্বাচনকে ঘিরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সশস্ত্র বাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হলেও দেশজুড়ে নানা সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো ভোটগ্রহণের আগে থেকেই নিয়মিত সংবাদ প্রকাশ করে আসছে। ভোটের দিনও তা অব্যাহত রয়েছে।
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরা বাংলাদেশের নির্বাচন ঘিরে তাদের ওয়েবসাইটে সরাসরি হালনাগাদ সংবাদ প্রকাশ করছে। সেখানে শিরোনাম দেওয়া হয়েছে, ‘বিরোধীদলের ভোট বর্জনের মধ্যেই বাংলাদেশে ভোটগ্রহণ চলছে’। এ ছাড়া গণমাধ্যমটি বলছে, ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা রয়েছে যে এই নির্বাচনে শেখ হাসিনা টানা চতুর্থ এবং সামগ্রিকভাবে পঞ্চম মেয়াদে জয়লাভ করতে পারেন। পাশাপাশি নির্বাচনে কারচুপির আশঙ্কার কথাও বলা হয়েছে।
আলজাজিরা বিশ্লেষকদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলছে, যে পদ্ধতিতে নির্বাচন পরিচালনা করা হচ্ছে, তা পশ্চিমা অংশীদারদের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে।
বিরোধীদের বয়কটের আহ্বানের পর থেকে নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে আওয়ামী লীগ স্বতন্ত্র বা ‘ডামি’ প্রার্থীদের মাঠে নামাতে শুরু করে।
এ সবের পাশাপাশি গণমাধ্যমটি নির্বাচনকে ঘিরে নানা ধরনের অনিয়মের খবরও প্রকাশ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে-স্বতন্ত্র প্রার্থীর পোলিং এজেন্টদের জোর করে ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া; চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সহিংস সংঘর্ষের ঘটনা; একটি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত ইত্যাদি।
এ ছাড়া আইরিশ এক্সামিনার, ফ্রান্স২৪, দ্য উইকে প্রকাশিত খবরগুলোর শিরোনামেও বিরোধীদের ভোট বর্জনের বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
ফ্রান্স২৪ বলেছে, বয়কটের কারণে শেখ হাসিনার দল অল্প প্রতিদ্বন্দ্বীর মুখোমুখি হচ্ছে।
দ্য উইকের শিরোনামে বলা হয়েছে, চতুর্থবারের মতো শেখ হাসিনার সম্ভাব্য বিজয় আঞ্চলিক প্রভাব ফেলবে।
এ ছাড়া এএফপির শিরোনামে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বিরোধীদল ছাড়া ভোট হচ্ছে।
সিএনএনও তাদের শিরোনামে বলছে, বিরোধী দলের বর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশে নির্বাচন হচ্ছে।
এ দিকে প্রতিবেশী ভারতের গণমাধ্যম আনন্দবাজার এক প্রতিবেদনের শিরোনামে বলেছে, অশান্তির আবহে নির্বাচন চলছে বাংলাদেশে। দেশটির আরেকটি গণমাধ্যম মিন্ট ‘বাংলাদেশের নির্বাচন : ভারতের জন্য শেখ হাসিনা পুনর্নির্বাচিত হওয়ার অর্থ কী?’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
এ ছাড়া বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে সহিংসতাসহ নানা ধরনের অশান্তির খবর বেশির ভাগ গণমাধ্যমে জায়গা পেয়েছে। কয়েকটি গণমাধ্যম ভোটগ্রহণের শুরু থেকে ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত লাইভ খবর প্রকাশের উদ্যোগও নিয়েছে।