NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
সেই কনস্টেবল পেলেন পিপিএম পদক, দেখা করলেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজারবাইজানকে বিনিয়োগের পাশাপাশি মানবসম্পদ কাজে লাগানোর আহ্বান ‘তারা এখন আমাকে সম্মান করেন’—বেজোস ও জাকারবার্গ সম্পর্কে ট্রাম্প বাংলাদেশে ১০ বছরের লাইসেন্স পেল স্টারলিংক ‘কিং’ শাহরুখের রানি দীপিকা, জমবে কি পুরনো ম্যাজিক মানুষ ভালো সমাধান মনে করছে অন্তর্বর্তী সরকারকেই-ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমরা জটিল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি : শিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের ১৬ ইউটিউব চ্যানেল ভারতে নিষিদ্ধ, বিবিসিকেও সতর্কতা কানাডার নির্বাচনে ফের জয় পেয়েছে লিবারেল পার্টি ইরেশের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় বাঁধনসহ তারকাদের প্রতিবাদ
Logo
logo

প্রবাসীর স্ত্রীর পরকীয়া দেখে ফেলায় ১ শিশুকে হত্যা


খবর   প্রকাশিত:  ২৪ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৫:২১ এএম

প্রবাসীর স্ত্রীর পরকীয়া দেখে ফেলায় ১ শিশুকে হত্যা

কুমিল্লায় প্রবাসীর স্ত্রীর পরকীয়া দেখে “দেইখা ফালাইছি হগলরে কইয়া দিমু” বলায় সায়মন নামের এক শিশুকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জড়িত মো. খেলু পাঠানের ছেলে মো. বিল্লাল পাঠান (৪২) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন, পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান।

 

জানা গেছে, এ বছরের ১৬ আগস্ট থেকে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার কলাকান্দি গ্রামের খোরশেদা আক্তারের (৪০) ছেলে সায়মন (৭) নিখোঁজের পর ১৯ আগস্ট সকালে কড়িকান্দি ইউনিয়নের কলাকান্দি বালুর মাঠের ঝোপে শিশু সায়মনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে শিশুর মা খোরশেদা আক্তার তিতাস থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, এ ঘটনার পর পুলিশ মো. বিল্লাল পাঠানকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডে সে এবং এই মামলার এজাহারনামীয় আসামি শেফালী আক্তার (৪২) জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। সে জানায় যে, শেফালী আক্তার সম্পর্কে তার জেঠস (স্ত্রীর বড় বোন)। শেফালীর স্বামী প্রবাসী হওয়ায় তাদের মাঝে একটা অবৈধ পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক হয়। ১৬ আগস্ট বিকেলে বিল্লাল পাঠান ও শেফালী অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়। তাদের এই অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকা অবস্থায় ঐ বাড়িতে খেলতে যাওয়া শিশু সায়মন তাদেরকে নগ্ন অবস্থায় দেখে ফেলে। এসময় সায়মন বলে যে, “দেইখা ফালাইছি হগলরে কইয়া দিমু।” শিশু সায়মনের এমন কথা শুনে বিল্লাল আতঙ্কিত হয়ে সায়মনের গলা ও মুখ চেপে ধরে। একই সাথে সায়মন যেনো এই কথা কাউকে জানাতে না পারে এটি নিশ্চিত করার জন্য হত্যার পরিকল্পনা করে।

 

শেফালী তার ঘরে থাকা আলমারীর ওপর থেকে ছুরি এনে দিলে আসামি বিল্লাল শিশু সায়মনের বুকের দুই পাশে তিন থেকে চারটি গভীর ছুরিকাঘাত করে। এভাবে সে দাঁড়িয়ে থেকে শিশু সায়মনের মৃত্যু নিশ্চিত করে। এরপর আসামি বিল্লাল ও শেফালী ঘরে থাকা প্লাস্টিকের বস্তায় সায়মনের লাশ ঢুকিয়ে খাটের নিচে রেখে দেয়। রাত ১২টার পর লাশ গুম করার জন্য বাড়ির পাশে বালুর মাঠে কাশবনের ঝোঁপের মধ্যে বস্তাবন্দী লাশ ফেলে দিয়ে নিজ বাড়িতে চলে আসে।

 
 
 
 

পুলিশ সুপার আরও জানান, শেফালী আক্তারকে ঘটনার চারদিন পর গত ২০ আগস্ট ডিবির তিতাস উপজেলা থেকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে। এবং হত্যায় ব্যবহৃত রক্তমাখা প্লাষ্টিকের বস্তা উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত মো. বিল্লাল পাঠানের নামে দুইটি মারামারির মামলা আছে।