তবে এসব সংঘাতের মূল্য হিসেবে ভয়াবহ মানবিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছে মিয়ানমার। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, ২৬ অক্টোবর থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত মিয়ানমারের পাঁচ লাখ ৭৮ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে প্রাণ হারিয়েছে ৩৬৩ জন বেসামরিক নাগরিক। এ ছাড়া ৪৬১ জন বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছে।
অপারেশন ১০২৭ শুরুর আগেও মিয়ানমার নজিরবিহীন সশস্ত্র সংঘাত ও মানবিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। জাতিসংঘের মতে, অভ্যুত্থানের পর থেকে জান্তা সারা দেশে স্কুল, হাসপাতাল ও শরণার্থী শিবিরে বোমা হামলা চালিয়েছে, কয়েক হাজার বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে এবং নির্যাতন, গণহত্যাসহ ব্যাপক নৃশংসতা চালিয়েছে। সম্প্রতি মানবাধিকার পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে মিয়ানমারে পালানোর মতো জায়গাও বেশি নেই। মিয়ানমারের সবচেয়ে শক্তিশালী জাতিগত সশস্ত্র সংগঠন ইউনাইটেড ওয়া স্টেট আর্মি পরিচালিত একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে ৪০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। তবে বেশির ভাগ বাস্তুচ্যুত মানুষই আটকা পড়েছে।
এসব মানুষের কাছে সাহায্য পৌঁছানোও চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁয়িড়েছে। জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও অনেক আন্তর্জাতিক সংগঠন শান রাজ্যের বৃহত্তম শহর লাশিওতে নিজ নিজ কার্যালয়ে আটকা পড়েছেন বলে নাম প্রকাশ না করে একটি সূত্র জানিয়েছে। পরিস্থিতির কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায়ও অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রয়োজনীয় সাহায্য পৌঁছাতে পারছে না।