NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, মে ১, ২০২৫ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
৫০ কোটির প্রকল্প ২৫ কোটিতেই সম্পন্ন, প্রধান উপদেষ্টার প্রশংসা আলজেরিয়ার সঙ্গে দ্রুত পারস্পরিক ভিসা অব্যাহতি চুক্তি করা হবে - স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মহান মে দিবস আজ আমি পোপ হতে চাই, এটাই এক নম্বর পছন্দ: ট্রাম্প ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা, ১০ ফ্লাইট বাতিল করলো পিআইএ তিন নায়কের প্রতিদ্বন্দ্বিতা, জমজমাট ঢালিউড চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ ত্বরান্বিত করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার মেধাসম্পদ সংরক্ষণ ও সুরক্ষায় নিরলস কাজ করছে সরকার - আদিলুর রহমান জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়ে প্রতিশোধ বাংলাদেশের ট্রাম্পের ১০০ দিন ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিতে বদলে যাচ্ছে বিশ্বব্যবস্থা
Logo
logo

নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে শেখ রাসেল দিবস উদযাপন


খবর   প্রকাশিত:  ১০ জানুয়ারী, ২০২৪, ১১:২৪ পিএম

নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে শেখ রাসেল দিবস উদযাপন

নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল আজ ১৮ অক্টোবর যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল এর ৬০তম জন্মদিন ও শেখ রাসেল দিবস উদযাপন করে। দিবসটি উপলক্ষে সন্ধ্যায় একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়। মেয়র অফিসের আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিশনার এডয়ার্ড মার্মেলস্টেইন, কলাম্বিয়া ইউনিভারসিটির অধ্যাপক মাইকেল স্টেকলারসহ বিদেশী অতিথিবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সামাজিক ও সাস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া ব্যক্তিবর্গ এ সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।
কনসাল জেনারেল মোঃ নাজমুল হুদা উপস্থিত সকলকে নিয়ে শহিদ শেখ রাসেল এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করেন। এ দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। অনুষ্ঠানে শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে নির্মিত একটি থিম সং ও একটি প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। শহিদ শেখ রাসেল, জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহিদ সদস্যসহ সকল শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
কনসাল জেনারেল সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শহিদ শেখ রাসেল এর জীবন সম্বন্ধে আলোচনাকালে কনসাল জেনারেল উল্লেখ করেন যে, বঙ্গবন্ধু দীর্ঘ সময় কারাগারে বন্দী থাকায় শিশু রাসেল পিতার আদর যত্ন ও সান্নিধ্য থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। শিশু বয়সে তার মধ্যে বিভিন্ন মানবিক গুণাবলীর উন্মেষ ঘটে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালোরাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তারঁ পরিবারের অনেক সদস্যসহ শহিদ হন। ছোট্ট শিশু শেখ রাসেলও সেদিন রেহাই পায়নি। শিশু-কিশোরদেরকে পৃথিবীর আশা ও ভবিষ্যৎ হিসাবে আখ্যায়িত করে তিনি নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে আরো গভীরভাবে জানতে উৎসাহিত করেন। শেখ রাসেলের জন্মদিনে কনসাল জেনারেল মোঃ নাজমুল হুদা শোককে শক্তিতে পরিনত করে বাংলাদেশ তথা সারা বিশ্বের শিশুর জন্য সুস্থ্য, সুন্দর পৃথিবী গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
সেমিনারে আলোচনাকালে উপস্থিত সুধীবৃন্দ শেখ রাসেলের ছোট্ট অথচ তাৎপর্যপূর্ণ এবং ঘটনাবহুল জীবনের নানাদিকের উপর আলোকপাত করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগষ্টের কালোরাতে কিভাবে মানবতা, মানবাধিকার এবং সভ্যতার অপমৃত্যু ঘটেছিল তা উল্লেখ করেন। জাতির স্মৃতিতে শেখ রাসেল চিরজীবন একজন নিষ্পাপ শিশু এবং সদ্য প্রস্ফুটিত ফুলের প্রতিচ্ছবি হিসেবে অমর হয়ে থাকবেন বলে বক্তারা অভিমত ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সামাজিক ও সাস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ শহিদ শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য প্রদান করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহিদ সদস্য ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত নিরাপত্তা, শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।