NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, মে ১, ২০২৫ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
৫০ কোটির প্রকল্প ২৫ কোটিতেই সম্পন্ন, প্রধান উপদেষ্টার প্রশংসা আলজেরিয়ার সঙ্গে দ্রুত পারস্পরিক ভিসা অব্যাহতি চুক্তি করা হবে - স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মহান মে দিবস আজ আমি পোপ হতে চাই, এটাই এক নম্বর পছন্দ: ট্রাম্প ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা, ১০ ফ্লাইট বাতিল করলো পিআইএ তিন নায়কের প্রতিদ্বন্দ্বিতা, জমজমাট ঢালিউড চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ ত্বরান্বিত করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার মেধাসম্পদ সংরক্ষণ ও সুরক্ষায় নিরলস কাজ করছে সরকার - আদিলুর রহমান জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়ে প্রতিশোধ বাংলাদেশের ট্রাম্পের ১০০ দিন ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিতে বদলে যাচ্ছে বিশ্বব্যবস্থা
Logo
logo

পরমাণু সাবেমেরিন তৈরিতে যুক্তরাজ্যের বরাদ্দ ৪৬০ কোটি ইউরো


খবর   প্রকাশিত:  ০৮ জানুয়ারী, ২০২৪, ১০:১৫ পিএম

পরমাণু সাবেমেরিন তৈরিতে যুক্তরাজ্যের বরাদ্দ ৪৬০ কোটি ইউরো

পরমাণু সাবমেরিনের জন্য ৪৬০ কোটি ইউরো খরচ করবে যুক্তরাজ্য। এইইউকেইউএস প্রকল্পে এই টাকা ঢালছে তারা। অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিজেদের ক্ষমতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এইউকেইউএস জোট তারই অন্যতম ফসল।

 
২০২১ সালে এই জোট তৈরি হয়েছিল। সেই জোট সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনকে টক্কর দিতে তারা পরমাণু অস্ত্র মজুত সাবমেরিন মোতায়েন করবে। ২০৩০ সালের মধ্যে এই কাজ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

 

সেই প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাজ্য।

 
পরমাণু সাবমেরিন তৈরির জন্য তারা চার দশমিক ছয় বিলিয়ন ইউরো খরচের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাবমেরিন তৈরি করবে যুক্তরাজ্যের সংস্থা বিএই সিস্টেমস ( লন্ডনে অবস্থিত বহুজাতিক অস্ত্র, নিরাপত্তা ও মহাকাশ সংস্থা)। যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবিবার ম্যানচেস্টারে কনসারভেটিভ পার্টির একটি কনভেনশনে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন।
 
প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস বলেছেন, ‘২০২৮ সাল পর্যন্ত এই অর্থ দেওয়া হবে। তার মধ্যেই বিএই তাদের সাবমেরিন তৈরি করবে।’

 

বিএই জানিয়েছে, অর্থ ঢুকতে শুরু করলেই তারা সাবমেরিনের ডিজাইনের দিকে মন দেবে। ২০২৮ সাল পর্যন্ত সাবমেরিন তৈরির কাজ চলবে। ২০৩০ সালের মধ্যে তা সম্পূর্ণ তৈরি করে এইউএসইউ-এর হাতে তুলে দেওয়া সম্ভব হবে।

 
প্রকল্পটি যুক্তরাজ্যে শুরু হলেও পরবর্তী সময়ে তা অস্ট্রেলিয়াও তৈরি করবে। এই সাবমেরিন ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে পশ্চিমা দেশগুলির ক্ষমতা অনেকটাই বাড়াবে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা।

 

এই কারণেই চীন এই জোটের তীব্র বিরোধিতা করেছে। চীন জানিয়েছে, এই জোট ঠান্ডা যুদ্ধের পর ফের এই অঞ্চলে অশান্তি তৈরির পরিকল্পনা করছে। কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলির বক্তব্য, ওই অঞ্চলে চীন ক্রমশ নিজের আধিপত্য তৈরির চেষ্টা করছে। গত কয়েকবছরে চীন নিজের নৌশক্তিকে ঢেলে সাজিয়েছে। দক্ষিম চীন সাগরে তারা যুদ্ধজাহাজ, সাবমেরিন মোতায়েন করেছে। তারই জবাব দেওয়ার জন্য এই নতুন সাবমেরিন তৈরি হচ্ছে বলে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন।