NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
সেই কনস্টেবল পেলেন পিপিএম পদক, দেখা করলেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজারবাইজানকে বিনিয়োগের পাশাপাশি মানবসম্পদ কাজে লাগানোর আহ্বান ‘তারা এখন আমাকে সম্মান করেন’—বেজোস ও জাকারবার্গ সম্পর্কে ট্রাম্প বাংলাদেশে ১০ বছরের লাইসেন্স পেল স্টারলিংক ‘কিং’ শাহরুখের রানি দীপিকা, জমবে কি পুরনো ম্যাজিক মানুষ ভালো সমাধান মনে করছে অন্তর্বর্তী সরকারকেই-ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমরা জটিল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি : শিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের ১৬ ইউটিউব চ্যানেল ভারতে নিষিদ্ধ, বিবিসিকেও সতর্কতা কানাডার নির্বাচনে ফের জয় পেয়েছে লিবারেল পার্টি ইরেশের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় বাঁধনসহ তারকাদের প্রতিবাদ
Logo
logo

শেখ রেহানার একটি চিঠি


খবর   প্রকাশিত:  ১৪ নভেম্বর, ২০২৩, ০২:৪২ এএম

শেখ রেহানার একটি চিঠি

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা তার বড় বোন শেখ হাসিনার সঙ্গে জার্মানি পৌঁছার পর ১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট বাবা ও ছোট ভাই শেখ রাসেলকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড থেকে রেহাই পেয়ে যান, কারণ তারা তখন জার্মানিতে ছিলেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২০২১ সালে তার জন্মদিন উপলক্ষে দলটির যাচাই করা ফেসবুক পেইজে সাক্ষাৎকারটি শেয়ার করেছিল, যেখানে তিনি তার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যকে হত্যার পর থেকে যে শোক ও দুঃখ লালন করছিলেন তা প্রকাশ করেছেন। শেখ রেহানা ১৯৮৩ সালের ১২ আগস্ট সাপ্তাহিক চিত্র বাংলা ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক ব্যতিক্রমী সাক্ষাৎকারে বেদনাদায়ক এ স্মৃতির কথা উল্লেখ করেন।

চিঠিতে রেহানা, তারা কীভাবে ভ্রমণ করছেন এবং কীভাবে সেখানে তাদের দিন কাটছে সেসব বর্ণনা করেন। কিন্তু যাদের উদ্দেশে চিঠিটি লেখা হয়েছিল তারা এ চিঠি কোনোদিনও দেখতে পাননি। কারণ চিঠিটি পৌঁছানোর আগেই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তার প্রায় পুরো পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল।

 

শেখ রেহানার ১০ বছর বয়সী ছোট ভাই শেখ রাসেল সাধারণত ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া ও বিশ্রাম নিতে চাইত না। তাই শেখ রেহানা চিঠিতে ভাইকে তার স্বাস্থ্যের যত্ন নেয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন এবং জার্মানির প্রকৃতি কতটা মনোরম ও সুন্দর তা বর্ণনা করেছিলেন।

তিনি চিঠির সঙ্গে কয়েকটি কার্ডও সংযুক্ত করেছিলেন; কিন্তু চিঠিটি কখনই তার নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছায়নি। এমনকি হত্যাকারীদের রক্ষার জন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ নামে একটি কালো আইন জারি করায় দেশের রাজনৈতিক গতিপথকে সম্পূর্ণভাবে বদলে দেয়া এবং রাষ্ট্রকে পাকিস্তানি আদর্শের দিকে ঠেলে দেয়ায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচারও তারা চাইতে পারেননি।

ওই সাক্ষাৎকারে রেহানা বলেছিলেন, ‘আমার মনে হয় ১৫ আগস্ট ওরা আমার জীবন কেড়ে নিয়েছে। আমি আমার বাবা-মা, আমার ভাইদের হারিয়েছি। আমি কীসের জন্য বাঁচব? কী দোষ ছিল ছোট্ট রাসেলের? সে তো রাজনীতিতে জড়িত ছিল না, আমার মাও ছিলেন না। কেন তারা তাদের মেরে ফেলল? আমি এতিম। আমি অসহায়। একজন কন্যা হিসেবে, একজন বাঙালি হিসেবে, আমি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার দাবি করছি।’

তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের জনগণের কাছে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’ রেহানা আরও বলেছিলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে ছিল সাম্রাজ্যবাদী শক্তি। ফুলের নিচের সাপের মতো স্থানীয় দালালরাও জড়িত ছিল। বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে দেশের নেতাদের মধ্যে যে আওয়াজ তোলা উচিত ছিল তা আশানুরূপভাবে হয়নি।’

যে খুনিরা গর্বিতভাবে তাদের কাজ শেষের ঘোষণা করেছিল তাদের দায়মুক্তি দেয়া হয়েছিল এবং জাতির পিতার নেতৃত্বে ইতিহাসের গৌরবজনক অধ্যায়ে নেমে এসেছিল করুণ নিস্তব্ধতা। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে ১৯৮১ সালে দেশে ফেরার জন্য দীর্ঘ ৬ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল। 

সূত্র: বাসস