NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
সেই কনস্টেবল পেলেন পিপিএম পদক, দেখা করলেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজারবাইজানকে বিনিয়োগের পাশাপাশি মানবসম্পদ কাজে লাগানোর আহ্বান ‘তারা এখন আমাকে সম্মান করেন’—বেজোস ও জাকারবার্গ সম্পর্কে ট্রাম্প বাংলাদেশে ১০ বছরের লাইসেন্স পেল স্টারলিংক ‘কিং’ শাহরুখের রানি দীপিকা, জমবে কি পুরনো ম্যাজিক মানুষ ভালো সমাধান মনে করছে অন্তর্বর্তী সরকারকেই-ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমরা জটিল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি : শিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের ১৬ ইউটিউব চ্যানেল ভারতে নিষিদ্ধ, বিবিসিকেও সতর্কতা কানাডার নির্বাচনে ফের জয় পেয়েছে লিবারেল পার্টি ইরেশের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় বাঁধনসহ তারকাদের প্রতিবাদ
Logo
logo

জাপানে বঙ্গমাতার ৯৩তম জন্মবার্ষিকী পালন


খবর   প্রকাশিত:  ১১ জানুয়ারী, ২০২৪, ০১:১৩ এএম

জাপানে বঙ্গমাতার ৯৩তম জন্মবার্ষিকী পালন

আজ মঙ্গলবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী। বিনম্র শ্রদ্ধা, সম্মান আর ভালোবাসা নিয়ে মহিয়সী এই নারীর জন্মদিন উদযাপন করেছে জাপানের টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস।

 স্থানীয় সময় সকালে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ এবং দূতাবাসের  কর্মকর্তা কর্মচারীগণ।  

সকালের অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণের মাধ্যমে গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতাসহ তার পরিবারের শহিদ সদস্যদের আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য এবং দেশ ও দেশবাসীর উত্তোরোত্তর কল্যাণ কামনায় মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী সকলের উদ্দ্যেশ্যে পাঠ করা হয়। 

 

রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গমাতা ছিলেন একজন আদর্শ নারী যিনি তার জীবনে পরিবারে স্ত্রী ও মাতার ভূমিকায় কোমলতা আর দেশের প্রয়োজনে যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণে কঠোরতার এক অপূর্ব সংমিশ্রণ ঘটিয়ে ছিলেন। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব একদিকে যেমন শক্ত হাতে সংসার ও সন্তানদের লালন-পালন ও শিক্ষাদান করেছেন, তেমনি নিজের ব্যক্তিগত চাহিদাকে অতিক্রম করে স্বামীর সংগঠন ও সংগ্রামের সহযোদ্ধা হিসাবে নীরবে ছায়াসঙ্গীর মতো যুগিয়েছেন প্রেরণা, সাহস ও উদ্দীপনা। তিনি ছিলেন মুক্ত চিন্তার অধিকারী, বিশ্বাসে অটল ও দৃঢ় প্রত্যয়ী একজন নারী। বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও আদর্শের সঙ্গে সবসময়ে ছিলেন একাত্মা। রাষ্ট্রদূত বলেন, মুক্তিযুদ্ধে প্রেরণাদাত্রী এই মহীয়সী নারী বঙ্গমাতার আদর্শ দেশের নতুন প্রজন্ম বিশেষ করে নারীদের কাছে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।  রাষ্ট্রদূত বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকীর এবারের প্রতিপাদ্য ‘সংগ্রাম স্বাধীনতা/ প্রেরণায় বঙ্গমাতা’-অনুসরণ করে বঙ্গমাতার জীবন ও কর্ম থেকে ত্যাগ, দেশপ্রেম, সাহস, বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতার শিক্ষা পরিবার ও সমাজে সুন্দরভাবে তুলে ধরার ধরার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 

অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্যায়ে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের কর্মজীবন, ত্যাগ ও সংগ্রামের উপর উম্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় এবং তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।