NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, সোমবার, মে ১২, ২০২৫ | ২৮ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
থানায় ভুক্তভোগীদের সঙ্গে ভিডিওকলে কথা বলবেন ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশে যুক্ত হলো নতুন বিধান ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি: যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকায় ‘গর্বিত’ ট্রাম্প জামিনে মুক্তি পেলেন টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই শিক্ষার্থী লা লিগার ইতিহাসে দ্রুততম হ্যাটট্রিকের রেকর্ড সোরলোথের ভারত ও পাকিস্তানকে সাধুবাদ জানালেন প্রধান উপদেষ্টা বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ গণহত্যাকারীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পরিকল্পনা করছে: উপদেষ্টা আসিফ ইসরায়েলি অবরোধের মধ্যে হামলায় গাজায় শিশুসহ নিহত ২১ যুদ্ধবিরতিকে ঐতিহাসিক বিজয় বললেন শাহবাজ শরিফ
Logo
logo

যে কারণে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হলো ইমরানকে


খবর   প্রকাশিত:  ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১০:৩৬ পিএম

যে কারণে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হলো ইমরানকে

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন রাজধানী ইসলামাবাদের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত। শনিবার (৫ আগস্ট) রায় ঘোষণার প্রায় সঙ্গেই সঙ্গেই ইমরানকে লাহোর থেকে আটক করে পুলিশ।

গত বছর আস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারান ইমরান। এরপর তার বিরুদ্ধে তোশাখানার সম্পত্তি আত্মসাৎ ও তথ্য গোপন করার অভিযোগ করা হয়।

তোশাখানা হলো পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় কোষাগার। দেশটির প্রধানমন্ত্রী, সরকারি কর্মকর্তারা রাষ্ট্রীয় সফরে গিয়ে বা বিদেশি অতিথিদের কাছ থেকে যদি কোনো উপহার পান তাহলে সেটি তাদের তোশাখানায় জমা দিতে হয় । তবে কেউ যদি সেসব উপহার নিতে চান তাহলে সরকারের কোষাগারে অর্থ জমা দিয়ে সেগুলো নিতে পারবেন এমন বিধানও রয়েছে।

 

ইমরান খানও সেই নিয়ম অনুযায়ী তোশাখানা থেকে কিছু উপহার নেন। তবে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারানোর পর ইমরানের বিরোধী রাজনীতিবিদরা দাবি করতে থাকেন তিনি তোশাখানা থেকে তথ্য গোপন করে রাষ্ট্রীয় সম্পদ আত্মসাৎ করেছেন। তার বিরুদ্ধে এরপর পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন এবং সরকার দলের আইনপ্রণেতারা মামলা করেন।

মামলায় দাবি করা হয়, ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় তোশাখানা থেকে নেওয়া উপহারের প্রকৃত তথ্য ‘ইচ্ছাকৃতভাবে গোপন করেছেন।’ এবং তিনি সেগুলো বিক্রি করে দিয়েছেন।

তোশাখানা আইন অনুযায়ী, সরকারের কোনো প্রতিনিধি যদি কোনো উপহার বা এ ধরনের বস্তু পেয়ে থাকেন তাহলে সেটি মন্ত্রীপরিষদ বিভাগকে অবহিত করতে হবে।

তবে ইমরান কিছু উপহার অবৈধভাবে রেখে দিয়েছিলেন বলে দাবি করা হয়। এ কারণে ইমরান খানকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে অযোগ্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

 

২০২২ সালের ২১ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন দাবি করে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী তোশাখানার উপহার নিয়ে তথ্য গোপন করেছেন। এরপর নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা ‘বিদেশিদের কাছ থেকে পাওয়া উপহার নিয়ে কর্মকর্তাদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগে’ বিষয়টি আদালতে নিয়ে যান।

২০২৩ সালের ১০ মে তাকে এই মামলায় অভিযুক্ত করা হয়। তবে গত ৪ জুলাই ইসলামাবাদ আদালত এই মামলায় স্থিতিবস্থা জারি করেন এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারককে বিষয়টি সাতদিনের মধ্যে পুনরায় নিরীক্ষণের নির্দেশ দেন। এছাড়া দায়রা আদালতকে হাইকোর্ট আরও নির্দেশ দেন, ইমরানের বিরুদ্ধে নির্বাচনের কমিশনের এমন মামলা করার বৈধতা আছে কিনা সেটি যেন যাচাই করা হয়।