NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, মে ৭, ২০২৫ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
ভবিষ্যতে এমন হামলার চেষ্টা করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না: উপদেষ্টা অর্ডিন্যান্স আকারে আইন করে বাংলাদেশ হেলথ সার্ভিস গঠনের সুপারিশ মালয়েশিয়া সফর স্থগিত করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হামজা-শামিত জুটি সম্ভাবনার আরেক ধাপ অগ্রগতি কোরবানির চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে কমিটি গঠনের নির্দেশ - প্রধান উপদেষ্টা মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ নেত্রীকে পুলিশে দিলো শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর ফ্লাইট বাতিলের হিড়িক তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতা চান না ট্রাম্প বাংলাদেশি হিসেবে রিশাদের রেকর্ডের দিনে লাহোরের হার ভারতীয় অনুরাগীদের মন্তব্যে হানিয়া বললেন ‘আমি কেঁদে ফেলব’
Logo
logo

ফুটন্ত স্তর চলে গেছে বিশ্বের জলবায়ু : জাতিসংঘ


খবর   প্রকাশিত:  ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩, ০৯:২৬ এএম

ফুটন্ত স্তর চলে গেছে বিশ্বের জলবায়ু : জাতিসংঘ

 

শিব্বীর আহমেদ, নিউইয়র্ক: উষ্ণায়ন স্তর পেরিয়ে ফুটন্ত স্তর চলে গেছে বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তন। পৃথিবীর ক্রমবর্ধমান উষ্ণতা বা ‘গ্লোবাল ওয়ার্মিং’, তা আরও এক ধাপ এগিয়ে হয়ে গেছে ‘গ্লোবাল বয়েলিং’। এক কথায়, গরমে ফুটছে গোটা বিশ্ব। উষ্ণায়ন পার করে শুরু হয়েছে ফুটন্ত যুগ। জাতিসংঘের প্রধান অ্যান্তোনিও গুতেরেস এমন কথা জানিয়েছে সতর্ক করেছেন।

নিউইয়র্কের একটি ভাষণে বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে অবিলম্বে আমূল পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন গুতেরেস। তিনি বলেন, এই জুলাই মাসে গোটা বিশ্বে যে রেকর্ড-বিধ্বংসী তাপমাত্রা দেখা যাচ্ছে, তাতে এ কথা স্পষ্ট যে পৃথিবী উষ্ণতার পর্যায় থেকে ফুটন্ত যুগে চলে গেছে। এদিন তিনি উল্লেখ করেন, পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধ জুড়ে যেভাবে তাপমাত্রা বাড়ছে, সেটি রীতিমতো ‘নিষ্ঠুর’। পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘গোটা গ্রহের জন্যই এটি একটি বিপর্যয়!’

জাতিসংঘ প্রধান সতর্ক করে বলেন যে, আগামী যে দিনগুলো আসতে চলেছে, তাতে এত বছরের সব রেকর্ড ভেঙে যাবে। তার কথায়, ‘এতটাই জলবায়ুর পরিবর্তন। ভয়ঙ্কর। এটি সবেমাত্র শুরু। বিশ্ব উষ্ণায়নের যুগ শেষ হয়েছে, বিশ্ব ফুটন্ত যুগ এসেছে।’

অ্যান্তনিও গুতেরেস মনে করিয়ে দেন যে, জলবায়ু পরিবর্তনের এই চরম প্রভাবগুলো নিয়ে বিজ্ঞানীরা আগেই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন এবং সতর্ক করেছিলেন। তাদের সব কথা মিলে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, যে গতিতে এই পরিবর্তন হচ্ছে, তা বিস্ময়কর। পৃথিবীর আগামী পরিণতি ‘দুঃখজনক’। তিনি জ্বালানি নিয়েও নতুন করে ভাবনাচিন্তার কথা বলেন।

প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই নাসা জানিয়েছিল, গত ১০০ বছরের তথ্য বলছে, এর আগে কখনও এতটা তেতেপুড়ে ওঠেনি ধরিত্রী। জুলাই মাসটাও এতটা গরম হয়ে ওঠেনি এর আগে কোনও দিন। নাসা বলেছে, নাসা বলছে, এই শরীর পুড়িয়ে ফেলা গরম জুলাইয়ের জন্য দায়ী ইউরোপে নজির গড়ে ফেলা তাপপ্রবাহ, গোটা সুমেরু ও ইউরেশিয়ার তাপমাত্রা বৃদ্ধি আর পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি। এর আগে প্রায় একই কথা জানিয়েছিল ইউরোপের ‘কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস’।

তথ্য বলছে, জুলাইতে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা যা থাকা উচিত, সে তুলনায় এ বছরের জুলাই অনেক বেশি উষ্ণ। প্রশান্ত মহাসাগরে উষ্ণ জলস্রোত এল নিনোর কারণে এ বছরে তাপমাত্রা বেড়েছে সমুদ্রপৃষ্ঠের। ফলে তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। ক্যালিফর্নিয়া এবং টেক্সাসে তাপপ্রবাহ চলছে। আগামী দিনে তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ক্যালিফর্নিয়ার ডেথ ভ্যালিতে তাপমাত্রা ৫৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, নানা জায়গায় প্রচণ্ড দাবানল ছারখার করে দিচ্ছে সব। কানাডার কিছু জায়গাতেও দাবানল দেখা গেছে।

গত ৭-৮ বছর ধরে ইউরোপে খরা লাগাতার ভাবে যতটা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠেছে, তা গত ২ হাজার বছরে একটি রেকর্ড। গোটা ইউরোপ মহাদেশে বেড়েছে তাপপ্রবাহের ঘটনা। বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্যই এটা হয়েছে। চলতি এপ্রিল থেকেই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে তাপমাত্রা রেকর্ড ছুঁয়েছে। চীনের চেংড়ু, ঝিজিয়াং, নানজিং ও ইয়াংঝি নদীর ব–দ্বীপ অঞ্চলে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে।


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উত্তরোত্তর তাপমাত্রার পারদ চড়ছে। এ বছরের জুলাই পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণতম মাস। ২০০৩ এর জুলাইয়েও ভয়ঙ্কর তাপপ্রবাহ হয়েছিল ফ্রান্সের গালার্গ লো মোঁত্যোয়। তবে এবার তাপমাত্রা তার চেয়েও ৩.২ ডিগ্রি ফারেনহাইট বেশি।