খবর প্রকাশিত: ০৯ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৮:৪৭ এএম
চিতলমারী(বাগেরহাট) সংবাদদাতা:
বাগেরহাটের চিতলমারীতে আওয়ামী লীগ অফিসের সাইনবোর্ড টাঙিয়ে ২ প্রতিবন্ধীর’ জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
উপজেলার কলাতলা ইউনিয়নের কুনিয়া গ্রামের জগন্নাথ সাহা জানান, তাদের বসবাসের জন্য নিজস্ব কোন জায়গা না থাকায় দীর্ঘ বছর ধরে সরকারের খাস জমিতে বসবাস করে আসছেন। তাদের বসবাসকৃত ওই জমি ২০১৮ সালে সরকারের কাছ থেকে তার দুই প্রতিবন্দি ছেলে জুয়েল সাহা ও উজ্জ্বল সাহার নামে ১৬ শতক ও বড় ছেলে এবং পুত্রবধূর নামে ১৩ শতকসহ মোট ২৯ শতক জমি তিনটি দলিলের মাধ্যমে ৯৯ বছরের বন্দোবস্ত নেন। চিংগুড়ি মৌজার এ জমির তিনটি দলিল নং যথাক্রমে -১৩৫৪, ২০৬৬ ও ১৩৫৫। উক্ত জমি দলিল গ্রহীতাদের নামে উপজেলা ভূমি অফিস নাম পত্তনের মাধ্যমে মালিকানা বুঝে দেন। জগন্নাথ সাহার ২ ছেলে ও ১ মেয়ে প্রতিবন্ধী সহ পরিবারে ৮ জন সদস্য নিয়ে বসবাস করছেন। এমতো অবস্থায় তার বন্দোবস্তকৃত জায়গায় ঘর তৈরি করতে গেলে কলাতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মেশকাত শেখ (আহম্মেদ) বাধা দেন। ওই জায়গায় মেশকাত শেখ জগন্নাথ সাহার’ নির্মাণকৃত ঘরের দেওয়াল ভেঙে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দখল নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল হান্নান শেখ ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান,জগন্নাথ সাহা ও তার পরিবার অনেক বছর ধরে ওই জমিতে বসবাস করে আসছেন। দলীয় প্রভাব খাটিয়ে মেশকাত শেখ যেটা করছে সেটা মেনে নেওয়ার মতো নয়। বিষয়টি দেখার জন্য সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল অনেকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, দলের নাম ভাঙিয়ে কেউ যদি জায়গা দখলের সাথে জড়িত থাকে তাহলে এটা কোন ভাবে মেনে নেওয়া হবে না। কারো ব্যক্তিগত অপরাধের দায় দল নেবে না। যদি কেউ দলের নাম ভাঙিয়ে এ জাতীয় দখল দারিত্বের সাথে জড়িয়ে পড়ে তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বহী অফিসার সাইয়েদা ফয়জুন্নেছা জানান, জগন্নাথ সাহা তার দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি খতিয়ে দেখার জন্য সহকারী কমিশনার(ভূমি) কে বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কলাতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মেশকাত শেখের সাথে ফোনে কথা হলে তিনি জায়গা দখলের বিষটি অস্বীকার করে জানান, পানিউন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় বালু ভরাট করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস ঘর তৈরি করছেন। ওই ভরাটকৃত স্থানে অন্য কারো জায়গা নেই বলে তিনি দাবি করেন। যদি মাপ দিলে কারো জায়গা বাধে তাহলে সেটি তিনি ছেড়ে দেবেন।