NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, মে ১, ২০২৫ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
৫০ কোটির প্রকল্প ২৫ কোটিতেই সম্পন্ন, প্রধান উপদেষ্টার প্রশংসা আলজেরিয়ার সঙ্গে দ্রুত পারস্পরিক ভিসা অব্যাহতি চুক্তি করা হবে - স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মহান মে দিবস আজ আমি পোপ হতে চাই, এটাই এক নম্বর পছন্দ: ট্রাম্প ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা, ১০ ফ্লাইট বাতিল করলো পিআইএ তিন নায়কের প্রতিদ্বন্দ্বিতা, জমজমাট ঢালিউড চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ ত্বরান্বিত করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার মেধাসম্পদ সংরক্ষণ ও সুরক্ষায় নিরলস কাজ করছে সরকার - আদিলুর রহমান জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়ে প্রতিশোধ বাংলাদেশের ট্রাম্পের ১০০ দিন ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিতে বদলে যাচ্ছে বিশ্বব্যবস্থা
Logo
logo

একই বংশে দুই ট্র্যাজেডি, টাইটানিকের পর টাইটানেও মৃত্যু


খবর   প্রকাশিত:  ১৭ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৫:১৪ এএম

একই বংশে দুই ট্র্যাজেডি, টাইটানিকের পর টাইটানেও মৃত্যু

একেই বলে ভাগ্যের পরিহাস! এক শতাব্দীরও বেশি সময় পেরিয়েছে। কিন্তু, ডুবোযান টাইটানের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা যেন মিলিয়ে দিল ধ্বংসপ্রাপ্ত টাইটানিককে। ১৯১২ সালে আটলান্টিক মহাসাগরের অতলে তলিয়ে গেছিল বিলাসবহুল জাহাজ টাইটানিক। সেই জাহাজের অন্যতম যাত্রী ছিলেন বৃদ্ধ দম্পতি ইডিটর স্ট্রস ও ইডা স্ট্রস। 

এই বৃদ্ধ দম্পতির কথা টাইটানিক সিনেমায় তুলে ধরেছিলেন পরিচালক জেমস ক্যামেরন। লাইফ জ্যাকেট খুলে ফেলে পরস্পর পরস্পরকে আঁকড়ে ধরে একসঙ্গে বিছানায় শুয়ে শান্তভাবে মৃত্যুকে বরণ করে নিয়েছিলেন স্ট্রস দম্পতি। সেই ঘটনা মিথ্যা ছিল না। সেজন্যই জ্যাক-রোজের মতো আজও দর্শকদের মণিকোঠায় রয়ে গিয়েছেন স্ট্রস দম্পতি। টাইটানিকের সঙ্গেই হিমশীতল আটলান্টিক মহাসাগরের পানিতে ডুবে মৃত্যু হয় তাদের।

এবার সেই একই পরিণতির শিকার হলেন তাদের প্রপৌত্রী ওয়েন্ডি রাশের স্বামী স্টকটোন রাশ। নিখোঁজ ডুবোযান টাইটানের পাইলট ছিলেন তিনি। এখনো পর্যন্ত তার হদিশ মেলেনি। আর এর মধ্য দিয়েই যেন টাইটানিকের সঙ্গে মিলে গেল টাইটান।

টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখাতেই ৫ যাত্রী নিয়ে আটলান্টিক মহাসাগরের অতলে পাড়ি দিয়েছিল টাইটান। ওশানগেট নামের প্রতিষ্ঠানটির সাবমার্সিবল টাইটানের মাধ্যমে টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে নিয়ে যায়। ওশানগেটের সিইও হলেন স্টকটোন রাশ। আর ওয়েন্ডি একই প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্ত। যাত্রী নিয়ে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে আটলান্টিক মহাসাগরের গভীরে যান স্টকটোন। এর আগেও টাইটানিক দেখতে গিয়েছিলেন স্টকটোন। ফিরেও এসেছিলেন। কিন্তু, এবার টাইটানের সঙ্গেই নিখোঁজ হয়ে গেলেন তিনি।

নিউ ইয়র্ক টাইমস সূত্রে জানা গেছে, স্ট্রস দম্পতির একমাত্র মেয়ে মিনি। তিনি ১৯০৫ সালে ডা. রিচার্ড উইলকে বিয়ে করেছিলেন। তাদের পুত্র জুনিয়র উইল নিউ ইয়র্কের মেসির প্রেসিডেন্ট হন। তার পুত্র তৃতীয় রিচার্ড উইল পেশায় চিকিৎসক ছিলেন। তারই মেয়ে হলেন ওয়েন্ডি রাশ। তিনি ১৯৮৬ সালে স্টকটোন রাশকে বিয়ে করেন।

আটলান্টিক মহাসাগরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে স্টকটোন রাশের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনাই যেন টাইটানকে মিলিয়ে দিলো টাইটানিকের সঙ্গে।