NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, মে ১, ২০২৫ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ ত্বরান্বিত করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার মেধাসম্পদ সংরক্ষণ ও সুরক্ষায় নিরলস কাজ করছে সরকার - আদিলুর রহমান জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়ে প্রতিশোধ বাংলাদেশের ট্রাম্পের ১০০ দিন ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিতে বদলে যাচ্ছে বিশ্বব্যবস্থা ট্রাম্পের হুমকিতে কখনোই নতি স্বীকার করবে না কানাডা সেই কনস্টেবল পেলেন পিপিএম পদক, দেখা করলেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজারবাইজানকে বিনিয়োগের পাশাপাশি মানবসম্পদ কাজে লাগানোর আহ্বান ‘তারা এখন আমাকে সম্মান করেন’—বেজোস ও জাকারবার্গ সম্পর্কে ট্রাম্প বাংলাদেশে ১০ বছরের লাইসেন্স পেল স্টারলিংক ‘কিং’ শাহরুখের রানি দীপিকা, জমবে কি পুরনো ম্যাজিক
Logo
logo

ভারতকে বাংলাদেশ বিষয়ে কথা বলার সুযোগ দেবে যুক্তরাষ্ট্র


খবর   প্রকাশিত:  ২৩ নভেম্বর, ২০২৩, ১০:০১ এএম

ভারতকে বাংলাদেশ বিষয়ে কথা বলার সুযোগ দেবে যুক্তরাষ্ট্র

ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উঠবে কি না তা আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেনি কোনো পক্ষই। তবে এরই মধ্যে ওই বৈঠকের আগে বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের অবস্থান প্রসঙ্গে মার্কিন এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে ভারতকে কথা বলার সুযোগ দেবে যুক্তরাষ্ট্র। আর যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান থেকে কথা বলবে।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ বৃহস্পতিবার রাতে ওয়াশিংটনে বৈঠকে বসার কথা।

আগামী নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের চাপ নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলবেন বলে সূত্রের বরাত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে গত মঙ্গলবার রাতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ফরেন প্রেস সেন্টারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের কৌশলগত যোগাযোগবিষয়ক সমন্বয়ক অ্যাডমিরাল জন কিরবি। সেখানে বাংলাদেশি একজন সাংবাদিক জানতে চান, ‘বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতির মূল উপাদান গণতন্ত্র ও মানবাধিকার। আপনি কি মনে করেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফরে আঞ্চলিক গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে?’

 

জবাবে জন কিরবি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন যেখানেই যান না কেন বা যে নেতার সঙ্গেই কথা বলেন না কেন, মানবাধিকার নিয়ে উদ্বেগের কথা তুলে ধরা স্বাভাবিক বিষয়।

যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতির মূল বিষয় হলো মানবাধিকার। তাই আপনারা নিশ্চিতভাবেই আশা করতে পারেন যে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে আমাদের (যুক্তরাষ্ট্রের) উদ্বেগের কথা তুলে ধরবেন।’

 

জন কিরবি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন সব সময় এটি করে থাকেন। আপনারাও আপনাদের বন্ধু ও অংশীদারদের সঙ্গে এটি করেন।’ 

 

ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে প্রশ্ন ছিল, যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের সমর্থনে ভিসানীতি গ্রহণ করেছে। আপনি কি মনে করেন, বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে ভারত বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টার সঙ্গে থাকবে?

জবাবে জন কিরবি বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে ভারত সরকারকে কথা বলতে দেব। আমরা বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রত্যাশার ব্যাপারে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছি। বাংলাদেশের নির্বাচনকে হেয় করা ব্যক্তিদের ভ্রমণ সীমিত করতে আমরা আমাদের ভিসানীতি প্রণয়ন করেছি।’

কিরবি আরো বলেন, ‘আমরা কেবল আমাদের পক্ষে কথা বলতে পারি।

আর আপনারা জানেন, আমাদের অবস্থান কী। আমরা আমাদের প্রত্যাশার বিষয়ে প্রকাশ্যে বলেছি। তবে আমরা ভারত সরকারকে তাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে কথা বলতে দেব।’