NYC Sightseeing Pass
Logo
logo

কোস্ট গার্ডে যুক্ত হলো ৫ নৌযান, কমিশনিং করলেন প্রধানমন্ত্রী


খবর   প্রকাশিত:  ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩, ০৪:৩০ এএম

কোস্ট গার্ডে যুক্ত হলো ৫ নৌযান, কমিশনিং করলেন প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা: দেশীয় শিপইয়ার্ডে তৈরি বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের বহরে যুক্ত হলো আরো পাঁচটি সমুদ্রগামী জাহাজ। অত্যাধুনিক এই জাহাজগুলো কমিশনিং করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ (বুধবার) সকাল ১০টায় ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে জাহাজগুলোর কমিশনিং করেন তিনি। 

জাহাজ পাঁচটি হলো- বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের দুটি ইনশোর পেট্রোল ভেসেল, দুটি টাগ বোট এবং একটি ফ্লোটিং ক্রেন।

 

 

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেনন বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান।

জাহাজগুলোতে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই পাঁচটি জাহাজের মাধ্যমে বহিঃনোঙরে বাণিজ্যিক জাহাজে চুরি রোধ, সমুদ্রপথে মানব ও মাদক পাচার নিয়ন্ত্রণ, অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমানায় টহল প্রদান এবং যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও নৌযান দুর্ঘটনায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনায় সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কোস্ট গার্ডের অপারেশনাল কার্যক্রম বেগবান হবে।

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত সরকারি প্রতিষ্ঠান নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেডে নির্মিত দুটি ইনশোর পেট্রোল ভেসেল বিসিজিএস জয় বাংলা ও বিসিজিএস অপূর্ব বাংলা।

আর খুলনা শিপইয়ার্ডে নির্মিত দুইটি টাগ বোট বিসিজিটি প্রত্যয়, বিসিজিটি প্রমত্ত এবং একটি ফ্লোটিং ক্রেন বিসিজিএফসি শক্তি। 

 

কোস্ট গার্ড সূত্রে জানা যায়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুদূরপ্রসারী দৃষ্টিভঙ্গির ফলেই নিজস্ব সমুদ্র এলাকা দাবি সংবলিত ‘দ্য টেরিটোরিয়াল ওয়াটার্স অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট ১৯৭৪’ প্রণীত হয়। পরবর্তী সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড প্রতিষ্ঠার সোপান রচনা করেন। 

১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৎকালীন বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় মহান জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বিল’ উত্থাপন করেন।

যার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি এ বাহিনীর যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে এ বাহিনীতে নতুন নতুন প্ল্যাটফরম ও অবকাঠামো সংযোজিত হয়েছে। এর ফলে বাহিনীর অপারেশনাল কর্মকাণ্ডে ব্যাপক গতি সঞ্চার হয়েছে এবং অর্জিত হয়েছে নানা সাফল্য।