NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, মঙ্গলবার, মে ১৩, ২০২৫ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
সমন্বিত অর্থনৈতিক কৌশল গঠনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার পুলিশের হাতে আর মারণাস্ত্র থাকবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ইউক্রেন শান্তি আলোচনার আগে অনিশ্চয়তা ও উত্তেজনা তুরস্কে সংঘাত অবসানের সম্ভাবনা, অস্ত্র ত্যাগের ঘোষণা পিকেকের টেস্ট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েই ফেললেন কোহলি যমজ সন্তানের মা হলেন আম্বার হার্ড প্রথম সিভিল সার্জন সম্মেলন আজ, উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা তুরস্ক যে কারণে প্রকাশ্যেই ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে সমর্থন করছে জেলেনস্কিকে অবিলম্বে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে বললেন ট্রাম্প কাশ্মীর হামলা ও ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে নীরাবতা ভাঙলেন অমিতাভ
Logo
logo

দেশকে কেউ আর পেছনের দিকে নিতে পারবে না : প্রধানমন্ত্রী


খবর   প্রকাশিত:  ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৩, ০৫:২৯ পিএম

দেশকে কেউ আর পেছনের দিকে নিতে পারবে না : প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের শিশুদের মেধা বিকাশের সুযোগ দিলে বাংলাদেশকে কেউ আর পেছনের দিকে নিয়ে যেতে পারবে না। তিনি গতকাল রবিবার তাঁর কার্যালয়ে অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপবৃত্তি, টিউশন ফি ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের ভাষণে এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা যদি ছেলেমেয়েদের মেধা বিকাশের সুযোগ করে দিই, তাহলে কেউ এ দেশকে পেছনে ঠেলে দিতে পারবে না।’

সরকার গবেষণা ও উদ্ভাবন বাড়াতে উপবৃত্তি দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন,  ‘আমাদের শিশুরা খুবই মেধাবী এবং তাদের মেধা বিকাশে উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে, যা আমাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখবে।

’ এতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল প্রতিভা অন্বেষণ মেধা বিকাশে একটি মহৎ উদ্যোগ, যেখান থেকে অনেক মেধাবী শিশু বের হয়ে আসছে।

তিনি বলেন, ‘আজ আমাদের শিশুরা তাদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পেয়েছে এবং এখন তাদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা প্রকাশ পাচ্ছে। কেউ দেশকে পেছনে ঠেলে দিতে পারবে না, অন্ধকারে ফেলে দিতে পারবে না।’

 

শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কারো কাছে মাথা নত না করে বিশ্বমঞ্চে আত্মমর্যাদার সঙ্গে আবারও মাথা উঁচু করে দেশকে এগিয়ে নিতে সঠিকভাবে নিজেকে গড়ে তোলার কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে যে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ, এই বাংলাদেশ ও  বাঙালি জাতি এগিয়ে যাবে, আত্মমর্যাদা ও আত্মসম্মান নিয়ে বিশ্ব অঙ্গনে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। আমরা কারো কাছে মাথা নত করব না। এটি আমাদের অঙ্গীকার।’

 

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব সময় এ কথা মনে রাখতে হবে যে এ জাতি বীরের জাতি। তারা কারো কাছে মাথা নত করে না।

তিনি বলেন, ‘আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। আমরা পথ দেখিয়েছি। আমাদের মেধাবী শিশুরা এই পথেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

২০৪১ সালের মধ্যে এই দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এই দেশে থাকবে স্মার্ট জনগণ, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি এবং স্মার্ট সমাজ।’

 

আজকের যুগ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও গবেষণার যুগ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে বলেন।

কৃষি গবেষণায় বাংলাদেশ যথেষ্ট সাফল্য অর্জন করেছে উল্লেখ করে তিনি এখন চিকিৎসাবিজ্ঞান গবেষণায় আরো গুরুত্ব দেওয়ার ওপর জোর দেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা সব সেক্টরে এগিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু আমাদের গবেষণা একটি ক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে, আর তা হলো স্বাস্থ্য খাত। আমরা চিকিত্সাবিজ্ঞান গবেষণায় গুরুত্ব দিচ্ছি...আমি মনে করি এটিকে আরো গুরুত্ব দেওয়া দরকার।’

শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার গবেষণার ক্ষেত্র সম্প্রসারিত করেছে। সরকার সমুদ্রবিজ্ঞান গবেষণা এবং ব্লু ইকোনমিকে গুরুত্ব দিয়েছে। কারণ এটি ভবিষ্যতে দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর বত্তৃদ্ধতার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি সত্যিই আশাবাদী, এই দেশকে আর কেউ পিছিয়ে নিয়ে যেতে পারবে না।’

শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সেশনজট ও অস্ত্র-সহিংসতা থেকে মুক্ত রাখতে সফলভাবে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা অন্তত দাবি করতে পারি যে ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে ক্যাম্পাসকে সেই পরিবেশ থেকে মুক্ত করতে পেরেছি।’ 

বাংলাদেশের ৫০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ২০০৯ সাল থেকে একটি গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকায় দেশ উন্নয়নের যাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার হার ৭৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে এবং আমরা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছি।’

সারা বিশ্বে এখন জনগণের দুর্ভোগ বাড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যদিও বাংলাদেশের মানুষও উচ্চ মূল্যস্ফীতির কবলে পড়েছে, তবু এখানে খাদ্যশস্য পাওয়া যায়। (খাদ্যশস্যের) অভাব নেই।

মাধ্যমিক থেকে স্নাতক (পাস) এবং এর সমমানের প্রতিষ্ঠানের অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণ উদ্বোধনের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০২৩ (বঙ্গবন্ধু ক্রিয়েটিভ ট্যালেন্ট সার্চ-২০২৩)-এর সবচেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের পুরস্কার প্রদান এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বৃত্তি পুরস্কার-২০২২ প্রদানের জন্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। সূত্র: বাসস