NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, মঙ্গলবার, জুন ১৭, ২০২৫ | ৩ আষাঢ় ১৪৩২
Logo
logo

রাশিয়ার স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে : সতর্কবার্তা পুতিনের


খবর   প্রকাশিত:  ৩০ নভেম্বর, ২০২৪, ০৪:০৬ এএম

রাশিয়ার স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে : সতর্কবার্তা পুতিনের

কিছু নিশ্চিত ও চিহ্নিত ব্যক্তি-গোষ্ঠী রাশিয়ার স্থিতিশীলতা নষ্ট করার জন্য ব্যাতিব্যস্ত হয়ে উঠেছে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

শুক্রবার মস্কোতে রাশিয়ার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সংস্থা রাশিয়ান সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠকে ছিলেন পুতিন; সেখানে তিনি বলেন, রাশিয়ায় বসবাসরত নৃগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সৌহার্দ্য ধ্বংসের চেষ্টা করছে কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী এখন তাদের প্রতিহত করা রাশিয়ার সার্বভৌমত্বের জন্য এখন খুবই জরুরি।

বৈঠকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আজকের বৈঠকে আমার অন্যান্য নির্ধারিত ইস্যুগুলোর পাশাপাশি রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, আরও নির্দিষ্ট করে বললে রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ও সার্বভৌমত্ব বিষয়ক ব্যাপারেও আলোচনা করব। কিছু চিহ্নিত শক্তি আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চাইছে এবং রাশিয়ার সার্বভৌমত্ব ও সার্বিক নিরাপত্তার জন্য তাদের প্রতিহত করা খুবই জরুরি।’

বিশ্বের বৃহত্তম দেশ রাশিয়ার আয়তন ১ কোটি ৭১ লাখ বর্গকিলোমিটার এবং জনসংখ্যা ১৪ কোটি ৩৪ লাখ। অন্তত ১৯০টি নৃগোষ্ঠীর মানুষ বসবাস করেন দেশটিতে।

গত শতকের নব্বইয়ের দশকে সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাঙনের পর রাশিয়ার অখণ্ডতাও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল। তারপর প্রায় দেড় দশকের চেষ্টায় অভ্যন্তরীণ সব বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীকে নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম হয় মস্কো।

২০২২ সালের শেষ দিকে রুশ বাহিনী ইউক্রেনে অভিযান শুরুর পর থেকে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে কোনঠাসা হয়ে পড়ে রাশিয়া। বহির্বিশ্বে রাশিয়ার গণতান্ত্রিক ও উদার ভাবমূর্তিও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

পুতিন অবশ্য বরাবরই অভিযোগ করে আসছেন— রাশিয়ার অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব ধ্বংসের জন্য পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো প্রতিনিয়ত বিচ্ছিন্নতাবাদী ব্যক্তি ও গোষ্ঠীগুলোকে গোপন সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।