দুই দিনের বাণিজ্য আলোচনার পর চীন ও যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করেছে যে তারা এক ধরনের ফ্রেমওয়ার্ক বা কাঠামোতে একমত হয়েছে, যা উত্তেজনা প্রশমনে সহায়ক হতে পারে। যদিও বিস্তারিত তথ্য খুব একটা প্রকাশ করা হয়নি, তবুও এ পদক্ষেপ বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থার ওপর কিছুটা চাপ কমাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে একটি মূল বিরোধপূর্ণ বিষয় হলো দুর্লভ খনিজ ও চুম্বক রপ্তানিতে চীনের নিষেধাজ্ঞা, তা সমাধান হয়েছে। তিনি আরও ইঙ্গিত দেন যে, কিছু মার্কিন রপ্তানি স্বাভাবিক করা হতে পারে।

 

তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মূল সমস্যাগুলো এখনো রয়ে গেছে, বিশেষ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বড় ধরনের শুল্ক এখনও বহাল রয়েছে।

এদিকে দুই দেশের বাণিজ্য উত্তেজনা কমানোর খবরে এশিয়ার শেয়ারবাজারগুলো কিছুটা ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। বুধবার সকালে চীনের সিএসআই৩০০ সূচক ০.৭ শতাংশ এবং হংকংয়ের হ্যাং সেং সূচক ০.৬ শতাংশ বেড়ে যায়। দুর্লভ খনিজ সংশ্লিষ্ট কিছু চীনা কোম্পানির শেয়ারের দামও বেড়ে গেছে।

 

লন্ডনে চীনা প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ভাইস প্রিমিয়ার হে লিফেং। চীনের ভাইস বাণিজ্যমন্ত্রী লি চেংগাং আলোচনার পরে গণমাধ্যমকে বলেন, দুই পক্ষ নীতিগতভাবে একটি কাঠামোতে পৌঁছেছে। যা জেনেভা সম্মেলনে অর্জিত ঐকমত্য এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও ট্রাম্পের মধ্যে সাম্প্রতিক ফোনালাপে আলোচিত বিষয়গুলো বাস্তবায়নের পথ প্রশস্ত করতে পারে।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানায়, লি আলোচনাকে পেশাদার, যুক্তিসংগত, গভীর এবং খোলামেলা বলেছেন।

লি আরও বলেন, আশা করা হচ্ছে লন্ডন বৈঠকে অর্জিত অগ্রগতি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস শক্তিশালী করতে এবং অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও স্থিতিশীল এবং স্বাস্থ্যকরভাবে এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে।

 

লুটনিক বলেন, এই কাঠামো একটি প্রথম পদক্ষেপ যা যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কের নেতিবাচকতা দূর করতে পারে।