চলতি বছরের মার্চে শেষ হওয়া অর্থবছরে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। শুক্রবার (৩০ মে) দেশটির সরকারি পরিসংখ্যান বিভাগ এ তথ্য জানিয়েছে। বিশ্বে অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির তালিকায় থাকলেও এটি ভারতের সাম্প্রতিক ইতিহাসের তুলনায় কিছুটা মন্থর।
গত অর্থবছরে দেশটির জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ দশমিক ২ শতাংশ, যা এবার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে।
বিশ্বের সর্বাধিক জনবহুল দেশটি গত বছর দুর্বল উৎপাদন খাত, কঠোর আর্থিক নীতি এবং শহরাঞ্চলে ভোক্তাদের নিরুৎসাহিত মনোভাবের কারণে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে।
তবে গত দুই প্রান্তিকে কৃষি খাতের শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির ফলে অর্থনীতি কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির কারণে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
নয়াদিল্লির ওপর আরোপিত ২৬ শতাংশ ‘পাল্টা শুল্ক’ নিয়েও ওয়াশিংটনের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে, যার মাধ্যমে ট্রাম্পের বাণিজ্য কৌশলের নেতিবাচক প্রভাব থেকে কিছুটা রক্ষা পাওয়ার আশা করছে ভারত।
বিশ্লেষকদের মতে, বার্ষিক প্রবৃদ্ধির এই পরিসংখ্যান এবং মূল্যস্ফীতি কমার ধারা ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সুদের হার কমানোর প্রবণতা অব্যাহত রাখতে উৎসাহিত করতে পারে। আগামী সপ্তাহে ব্যাংকের পর্যালোচনা বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
যদিও বাৎসরিক প্রবৃদ্ধির হার বিশ্লেষকদের ৬ দশমিক ৩ শতাংশ অনুমানের তুলনায় কিছুটা বেশি, এটি সরকারের পূর্বাভাস করা ৬ দশমিক ৫ শতাংশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।