মামা বাড়ির পাশের আম বাগানে প্রচুর কাঁচা-পাঁকা আম। তা দেখে বন্ধুদের সঙ্গে বাগানে গিয়ে আম খাওয়ার ইচ্ছা জাগে এক কিশোরের। আর সেই শখই যেন কাল হয়ে দাঁড়ালো। আম পাড়ার দায়ে কিশোরটিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বাগানের প্রহরীর বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নৈহাটি আটিসাড়া গ্ৰামে।

 

নিহত কিশোরের নাম সুদীপ্ত পণ্ডিত। বয়স ১৭ বছর। জানা গেছে, মামার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল সুদীপ্ত পণ্ডিত। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাতে বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে মামা বাড়ির পাশের আম বাগানে আম কুড়াতে গিয়েছিল। সেসময় বাগানের প্রহরী ফারহাদ আলী তাদের দেখে ফেলেন। পরে ওই প্রহরী ধাওয়া দিয়ে সুদীপ্তকে ধরে ফেলে বাগানের ভেতরে একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে যান। অভিযোগ উঠেছে, ঘরের ভেতরে নিয়ে গিয়ে সুদীপ্তকে লাঠি দিয়ে পেটান ফরহাদ আলী। এতে ওই কিশোর অচেতন হয়ে পড়ে।

খবরটি জানাজানি হয়ে গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা সুদীপ্তকে বাগান থেকে উদ্ধার করে নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপরই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

 

যে ঘরে সুদীপ্তকে পেটানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে, সেটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। তাছাড়া অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে টায়ার জ্বালিয়ে কল্যাণী সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুলিশ কমিশনার অজয় ঠাকুর বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে অবরোধ ভেঙে দেন ও অভিযুক্ত প্রহরী ফারহাদ আলীকে গ্ৰেফতার করেন।

পুলিশ কমিশনার অজয় ঠাকুর জানান, ছেলেটি মামা বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। বন্ধুদের নিয়ে সে বাড়ির পাশেই একটি বাগানে আম পাড়তে গিয়েছিল। অভিযোগ পেয়েছি যে, ওই বাগানের প্রহরী তাদেরকে দেখে ফেলেন ও সুদীপ্তকে ধরার পর লাঠিপেটা করেন। এতে ১৭ বছরের ওই কিশোরের মৃত্যু হয়।

এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, আমরা পুরো ঘটনার তদন্ত করছি। ছেলেটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন এলেই তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বোঝা যাবে।