যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাব খারিজ করে দিলেন জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ। পশ্চিম জার্মানিতে সোমবার একটি নির্বাচনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘জার্মানির ক্ষেত্রে জিডিপির পাঁচ শতাংশ খরচ করা মানে প্রতিরক্ষায় ২০ হাজার কোটি ইউরো খরচ করা। জার্মানির ফেডারেল বাজেটই ৫০ হাজার কোটি ইউরো হয় না।’

শোলজ আরো বলেছেন, ‘প্রচুর কর বাড়িয়ে বা অন্য সব খরচ ছাঁটাই করে প্রতিরক্ষাখাতে খরচ বাড়াতে হবে।

কিন্তু অন্য সব খাতে খরচ করাটা জার্মানির জন্য খুব জরুরি। আমি কখনই পেনশন কমাব না, স্থানীয় সরকার বা যানবাহন পরিকাঠামোর জন্য খরচ ছাঁটাই করব না।’

 
 

শোলজ জানিয়েছেন, গত বছর জিডিপির দুই শতাংশ প্রতিরক্ষায় খরচ করা হয়েছিল। কোল্ড ওয়ারের পর এই প্রথমবার জার্মানি প্রতিরক্ষায় জিডিপির দুই শতাংশ অর্থ খরচ করলো।

এই খরচ বহাল রাখা হবে বলে শোলজ জানিয়েছেন।

 

তিনি বলেছেন, ‘যারা জিডিপির দুই শতাংশের বেশি অর্থ খরচ করার প্রস্তাব দিচ্ছেন, তারা এটাও জানান, ওই অর্থ কোথা থেকে পাওয়া যাবে?’

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর জার্মানির পার্লামেন্টে শোলজ জানিয়েছিলেন, জার্মানির সেনাবাহিনীর জন্য তিনি ১০ হাজার কোটি ইউরোর বিশেষ তহবিল তৈরি করবেন। কিন্তু বাজেট পরিস্থিতি ও ঘাটতি নিয়ে কড়া সাংবিধানিক নিয়মের মধ্যে পড়ে শোলজ তা করতে পারেননি।
 

 

জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য
এদিকে শোলজ এই কথা বললেও জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও তার দলের নেতা বরিস পিস্টোরিয়াস বলেছেন, সেনাবাহিনীর জন্য খরচ বাড়ানো উচিত।

 

ইউক্রেনের হাতে অত্যাধুনিক কামান তুলে দেওয়া উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘আগামী দিনে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা বাড়ানোকেই আমাদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। আমরা ২০২৫ সালে এই প্রবণতা বজায় রাখব। আমরা জানি, তার পরের বছরগুলোতে আমাদের প্রতিরক্ষায় আরো বিনিয়োগ করতে হবে। জিডিপির দুই শতাংশ দিয়ে তা শুরু হয়েছে। সেটা আরো বাড়াতে হবে।

 
 

অন্য ন্যাটো দেশ কতটা খরচ করছে
রাশিয়ার প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ড ২০২৪ সালে তাদের জিডিপির ৪.২ শতাংশ প্রতিরক্ষায় খরচ করেছে। এস্তোনিয়া জিডিপির ৩.৪, লাটভিয়া ৩.১৫, লিথুয়ানিয়া ২.৮৫, ফিনল্যান্ড ২.৪১ শতাংশ অর্থ প্রতিরক্ষায় খরচ করে। যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষাখাতে খরচ করে ৩.৩৭ শতাংশ।