জাতিসংঘসহ বিশ্বের অধিকাংশ পশ্চিমা দেশের চোখ ইসরায়েলের দিকে। কারণ মঙ্গলবার ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা হিজবুল্লার সঙ্গে সংঘর্ষ-বিরতির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করবে। আলোচনা চললেও ইসরায়েলি হামলা বন্ধ নেই। গতকাল সোমবারও লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ খুব দ্রুত হিজবুল্লাহ-ইসরায়েলের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। গতকাল সোমবার চার শীর্ষস্থানীয় লেবানিজ সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাখোঁ বলেছেন, হিজবুল্লা এবং ইসরায়েলের মধ্যে সংঘর্ষ-বিরতির আলোচনা অত্যন্ত সদর্থক জায়গায় পৌঁছেছে। দুই পক্ষের উচিত এবার সংঘর্ষ-বিরতির প্রস্তাব গ্রহণ করা।
এর আগে, ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কারবি বলেন, ‘আমরা (যুদ্ধবিরতির খুব) কাছাকাছি।
তবে আলোচনার মধ্যেই লেবাননে ইসরায়েলের আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে।
লেবাননের জাতীয় সংবাদসংস্থা এনএনএ গতকাল সোমবার বিকেলে দাবি করেছে, দেশের তিনটি অঞ্চল হারেট, রেইক এবং শিয়াতে হামলা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অধিকাংশ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ লেবাননে। চারজনের মৃত্যু হয়েছে পূর্ব দিকের অঞ্চলে।
এদিকে ইসরায়েলের সেনা দাবি করেছে, তারা অন্তত ২৫টি হিজবুল্লার ঘাঁটি ধ্বংস করতে পেরেছে এদিন। থেমে নেই হিজবুল্লাও। সোমবার দিনভর একের পর এক রকেট হামলা চালানো হয়েছে ইসরায়েলের সীমান্ত এলাকায়। উল্লেখ্য, রবিবার তারা ইসরায়েলের রাজধানীসহ একাধিক অঞ্চলে ২৫০টি রকেট ছুঁড়েছিল।
এদিকে জাতিসংঘের পাশাপাশি ফ্রান্স, আমেরিকা, জার্মানি, ইটালির মতো একাধিক দেশ আশা করছে আজ মঙ্গলবার ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা হিজুল্লার সঙ্গে সংঘর্ষ-বিরতির প্রস্তাবে সম্মত হবে।
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক বলেছেন, ‘আগের আলোচনাগুলো থেকে এবারের আলোচনা অনেক বেশি ফলপ্রসূ হয়েছে। তা-ই আমি আশাবাদী।’ তিনি জানিয়েছেন, গাল্ফ এবং আরব দুনিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে লাগাতার আলোচনা চলছে। কীভাবে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব, তা নিয়ে আলোচনা অনেকটাই এগিয়েছে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে, রয়টার্স