‘উত্তর কোরিয়ার সেনা ব্যবহার করা হবে কি না, তা সম্পূর্ণ রাশিয়ার নিজস্ব বিষয়। যদি ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দিতে চায়, তবে মস্কো তার নিজস্ব নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যা প্রয়োজন তা করতে পারে।’ শুক্রবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এমন মন্তব্য করেন। এনডিটিভি শুক্রবারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বুধবার জানিয়েছে যে তারা প্রমাণ পেয়েছে যে উত্তর কোরিয়া রাশিয়ায় তিন হাজার সেনা পাঠিয়েছে। যে সেনাগুলো ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার করতে পারে দেশটি। এই পদক্ষেপটি পশ্চিমারা ইউক্রেন যুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ উত্তেজনা হিসেবে দেখছে।
ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা বলেছে, রাশিয়ায় প্রশিক্ষিত প্রথম উত্তর কোরিয়ান ইউনিটগুলি কুর্স্ক অঞ্চলে মোতায়েন করা হয়েছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে পুতিন বলেন, ‘আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন পড়লে সেটি আমরা নেব। তবে এটি আমাদের সার্বভৌম সিদ্ধান্ত আমরা কোরিয়ান সেনা ব্যবহার করব কি না। এটি আমাদেরই বিষয়।
পুতিন বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো বারবার বলছে যে ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দিবে কি দিবে না, তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে কি না, তা সম্পূর্ণ তাদের ব্যাপার।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, তারা যত তাড়াতাড়ি রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গির অসারতা উপলব্ধি করবে, ততই সবার জন্য ভালো হবে এবং সম্ভবত তাদের নিজেদের জন্যও ভালো হবে।
গণমাধ্যমের তথ্য মতে, ভ্লাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন জুন মাসে পুতিনের পিয়ংইয়ং সফরে একটি ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তির ৪ নম্বর ধারা অনুসারে বলা হয়েছে, ‘যদি কোনো একটি পক্ষ কোনো রাষ্ট্র বা একাধিক রাষ্ট্র দ্বারা সশস্ত্র আক্রমণের শিকার হয় এবং যুদ্ধাবস্থায় পড়ে, তবে অন্য পক্ষ অবিলম্বে তার সর্বোচ্চ সামর্থ্যানুযায়ী সামরিক ও অন্যান্য সহায়তা প্রদান করবে।’
উত্তর কোরিয়ার সেনা পাঠানো নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহস্পতিবারের দাবির বিষয়ে মন্তব্য করেননি পুতিন।