ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) মাঙ্কিপক্স শনাক্তের জন্য প্রথম পরীক্ষার অনুমোদন করেছে, যেখানে ফলাফল দ্রুত জানা যাবে। সংস্থাটি বলছে, মারাত্মক এই ভাইরাস বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করতে দ্রুত শনাক্তকরণের পরীক্ষা সহায়তা করবে।
নতুন এই পিসিআর পরীক্ষা ত্বকের ক্ষতস্থান থেকে সোয়াব নিয়ে এমপক্স ডিএনএ শনাক্ত করতে সক্ষম। প্রথমে নমুনা নিয়ে পরীক্ষার জন্য পরীক্ষাগারে পাঠাতে হবে, এরপর ফলাফলের জন্য রোগী এবং চিকিৎসকদের অপেক্ষা করতে হবে।
সীমিত পরীক্ষার কীট বা সরঞ্জাম এবং মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত কি না তা নিশ্চিত করতে বিলম্ব হওয়ায় আফ্রিকার জন্য ভাইরাসটি একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমপক্সের বা মাঙ্কিপক্সের বিস্তার আরো বেড়ে চলছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এই বছর আফ্রিকায় ৩০ হাজারের বেশি সন্দেহভাজন ঘটনার মধ্যে ৪০ শতাংশের মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ডব্লিউএইচও-এর সহকারী মহাপরিচালক ইউকিকো নাকাতানি নতুন এই ডায়াগনস্টিক পরীক্ষাকে ‘একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোতে সর্বাধিক সংখ্যক মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। দেশটিতে মাঙ্কিপক্স টিকাদান কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে এবং সামান্য সাফল্য আসাও শুরু করেছে। এমপক্স অত্যন্ত সংক্রামক একটি রোগ।
ডিআর কঙ্গোতে ক্রমবর্ধমান মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের ঘটনা এবং প্রতিবেশী দেশ বুরুন্ডি, উগান্ডা ও রুয়ান্ডায় ছড়িয়ে পড়লে গত আগস্টে ডব্লিউএইচও বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল, যা দুই বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বার ছিল। কিছু পশ্চিমা দেশ আফ্রিকায় এই রোগের প্রাদুর্ভাবের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এমপক্স ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া শুরু করে, তবে বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরো জরুরিভাবে টিকা দেওয়া প্রয়োজন।
আফ্রিকা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (আফ্রিকা সিডিসি) অনুসারে, রুয়ান্ডায় গত মাসে প্রথম এমপক্স ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করেছে। নাইজেরিয়ায় টিকাদান অভিযান আগামী মঙ্গলবার চালু করা হবে বলে আফ্রিকা সিডিসি জানিয়েছে।
সূত্র : বিবিসি