কলকাতায় আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে প্রবল আলোড়ন ও প্রতিবাদের মধ্যেই ভারতের বিভিন্ন স্থান থেকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ভয়ংকর খবর আসছে। যার শেষতম নিদর্শন হলো মধ্য প্রদেশের বুধবারের এক ঘটনা। সেখানে ইন্দোরের কাছে দুই প্রশিক্ষণার্থী সেনা কর্মকর্তাকে মারধর ও তাদের এক বান্ধবীকে ধর্ষণ করা হয়েছে।
ইন্দোরের কাছে মউতে দুজন প্রশিক্ষণার্থী সামরিক কর্মকর্তা তাদের দুই বান্ধবীর সঙ্গে পিকনিক করতে গিয়েছিলেন।
এরপর দুই প্রশিক্ষণার্থী সামরিক কর্মকর্তা ও তাদের বান্ধবীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ কর্মকর্তা লোকেন্দ্র সিং হিরোরকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, এ ঘটনায় একজন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। পরে পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণ, লুট, ডাকাতি, বেআইনি অস্ত্র রাখার অপরাধে মামলা করা হয়েছে। বাকি অপরাধীদের খোঁজ চলছে।
কানপুরের ঘটনা
এ ছাড়া একই দিনে উত্তর প্রদেশের কানপুরের কাছে গুজাইনিতে জাতীয় সড়কে এক নারীর মাথা কাটা নগ্ন দেহ রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। ২৪ ঘণ্টা পরও পুলিশ ঘটনা সম্পর্কে বিশেষ এগোতে পারেনি। ওই নারীর পরিচয়ও জানা যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজে উল্টো দিকের হাসপাতাল থেকে ঘটনার ঘণ্টা কয়েক আগে এক নারীকে বের হতে দেখা গেছে। পুলিশের প্রাথমিক সন্দেহ, ওই নারীর মৃতদেহই ফেলে রেখে গিয়েছে দুষ্কৃতিরা।
পুলিশ তিনটি তদন্তকারী দল গঠন করেছে। তারা আরো তথ্য-প্রমাণ জোগাড় করার চেষ্টা করছে।
বিহারে দলিত কিশোরীকে ধর্ষণ
এ ছাড়া বিহারে গত ১১ আগস্ট ১৪ বছর বয়সী এক দলিত কিশোরীকে গণধর্ষণ করে হত্যা করা হয়। প্রধান অভিযুক্ত সঞ্জয় রাইকে পুলিশ পরে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, সঞ্জয় রাই ওই কিশোরীকে বিয়ে করতে চেয়েছিল। কিন্তু মেয়েটিক পরিবার রাজি হয়নি। তখন সঞ্জয় ও তার বন্ধুরা মিলে তাকে ধর্ষণ ও হত্যা করে।
মেয়ের মা এফআইআরে অভিযোগ করেছেন, সঞ্জয় রাই বিবাহিত ও তিন সন্তানের বাবা। তার পরও তিনি তার মেয়েকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন।