ইরাকি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, পশ্চিম আনবার মরুভূমিতে যৌথ অভিযানে তথাকথিত ‘ইসলামিক স্টেট’ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মূল নেতারা নিহত হয়েছেন। একই সঙ্গে মার্কিন ও ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ অভিযানে পশ্চিম ইরাকে ‘ইসলামিক স্টেট’ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ১৫ জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় কমান্ড নিশ্চিত করেছে। এ ছাড়া এ অভিযানে অন্তত সাত মার্কিন সেনা আহত হয়েছেন।
মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সের পোস্টে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টকম বলেছে, ‘আইএসআইএসের আস্তানায় অসংখ্য অস্ত্র, গ্রেনেড ও বিস্ফোরক আত্মঘাতী বেল্ট দিয়ে সজ্জিত ছিল।
অন্যদিকে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, অভিযানের সময় অন্তত সাত মার্কিন সেনা আহত হয়েছেন।
সেন্টকম বলেছে, ‘এই অভিযানের লক্ষ্যবস্তু ছিলেন আইএসআইএস নেতারা। যাতে ইরাকি বেসামরিক নাগরিকদের পাশাপাশি মার্কিন নাগরিক, মিত্র ও অংশীদারদের সমগ্র অঞ্চলে ও এর বাইরেও আইএসআইএসের পরিকল্পনা, সংগঠন ও আক্রমণ পরিচালনা করার ক্ষমতাকে ব্যাহত ও দমন করা যায়।’
ইরাকের সামরিক বাহিনী একটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘আকাশপথে এক দফা অভিযান চালানোর পর গোপন ঘাঁটি লক্ষ্য করে বিমান অভিযান চালানো হয়েছে।
ইরাকের সামরিক বাহিনী পরিচয় প্রকাশ না করে জানায়, ‘নিহতদের মধ্যে আইএসআইএসের অন্যতম নেতা ছিলেন। সব আস্তানা, অস্ত্র ও লজিস্টিক সহায়তা ধ্বংস করা হয়েছে, বিস্ফোরক বেল্টগুলো নিরাপদে বিস্ফোরিত করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ নথি, শনাক্তকরণের কাগজপত্র ও যোগাযোগ যন্ত্রগুলো জব্দ করা হয়েছে।’
আইএস কারা?
তথাকথিত ‘ইসলামিক স্টেট’ একটি চরমপন্থী সংগঠন।
মার্কিন সামরিক বাহিনী বলেছে, ‘আইএসআইএসের এই অঞ্চল, আমাদের মিত্রদের, সেই সঙ্গে আমাদের মাতৃভূমির জন্য হুমকি হিসেবে রয়ে গিয়েছে। মার্কিন সেন্টকম আমাদের জোট ও ইরাকি অংশীদারদের পাশাপাশি এই সন্ত্রাসীদের আক্রমণাত্মকভাবে ধাওয়া করে যাবে।