মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে অপেক্ষায় থাকা রোহিঙ্গাদের ওপর গত সোমবার ড্রোন হামলা হয়েছে। এতে নারী, শিশুসহ অনেক মানুষ নিহত হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করেছেন। রয়টার্স শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
চারজন প্রত্যক্ষদর্শী, অ্যাক্টিভিস্ট ও কূটনৈতিক জানান, গত সোমবার এই ড্রোন হামলা চালানো হয়।
এই হামলার জন্য আরাকান আর্মি (এএ) দায়ী বলে তিনজন প্রত্যক্ষদর্শী গত শুক্রবার জানিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে কাদামাটিতে বেশ কিছু লাশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী মোহাম্মদ ইলিয়াস (৩৫) বলেন, হামলায় তার গর্ভবতী স্ত্রী ও দুই বছরের মেয়ে আহত হয়েছিল।
এদিকে দুই প্রত্যক্ষদর্শী ও বাংলাদেশি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে একই দিনে মিয়ানমার থেকে পালানোর সময় নাফ নদে ডুবে বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা মারা যাওয়ার কথাও বলা হয়েছে প্রতিবেদনে। ডক্টর উইদাউট বর্ডার জানিয়েছে, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা ৩৯ জনকে তারা চিকিৎসা দিয়েছে। অনেকের গায়ে কামানের গোলা ও বন্দুকের গুলির আঘাত ছিল।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনের (ইউএনএইচসিআর) এক মুখপাত্র বলেন, বঙ্গোপসাগরে নৌকা ডুবে শরণার্থীদের মৃত্যু এবং মংডুতে বেসামরিক লোকজনের মৃত্যুর বিষয়ে তারা অবগত। তবে তারা হতাহতের সংখ্যা বা সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত নন।