পাকিস্তানের পার্লামেন্টে নারী ও সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত আসনের প্রায় ২০টি বরাদ্দ পাচ্ছে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)  দল। গতকাল শুক্রবার দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এই অভিমত জানায়। শীর্ষ আদালতের এমন রায় দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান ও তাঁর দলের জন্য একটি বড় বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সুপ্রিম কোর্ট পিটিআইকে পার্লামেন্টের সংরক্ষিত আসন পাওয়ার যোগ্য বলায় এটি দলটিকে পার্লামেন্টে ফেরার পথ সুগম করেছে।

সেই সঙ্গে পার্লামেন্টে জোট সরকারের ছন্দঃপতন ঘটাতে যাচ্ছে। সুপ্রিম কোটের বিচারক জানান, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ একটি রাজনৈতিক দল ছিল ও আছে।  ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে জাতীয় ও প্রাদেশিক আইনসভায় দলটি অনেক সাধারণ আসনে জয় নিশ্চিত করেছে। বিচারক আরো জানান, এটি ঘোষিত যে, কোনো দলের নির্বাচনী প্রতীক না থাকলে কিংবা এটি রাখতে অস্বীকার করলে তা নির্বাচনে অংশ নিতে দলটির সাংবিধানিক কিংবা বৈধ অধিকারের ওপর কোনো প্রভাব ফেলে না।

 

সেই অনুযায়ী পিটিআই পার্লামেন্টের  নারী ও সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত আসনে স্বত্বাধিকারী হবে। পার্লামেন্টে দলগুলোর আসনসংখ্যার অনুপাতে তাদের মধ্যে নারী ও অমুসলিমদের জন্য অনির্বাচিত সংরক্ষিত আসনগুলো বণ্টন করে দেওয়া হয়। পাকিস্তানের  নির্বাচন কমিশন এর আগে সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিল দল কিংবা পিটিআইকে সংরক্ষিত আসন দেওয়ার বিরুদ্ধে অভিমত দেয়। এর আগে নির্বাচন কমিশনের অভিমতের কারণে গত ফেব্রুয়ারির নির্বাচন থেকে ছিটকে পড়েছিল পিটিআই।

 

ওই নির্বাচনে পিটিআই দলগতভাবে অংশ নিতে না পারলেও ইমরানের প্রতি অনুগত প্রার্থীরা স্বতন্ত্রভাবে অংশ নিয়ে বড় জয় পান। এই স্বতন্ত্র প্রার্থীরা একটি ব্লক হিসেবে দাঁড়াতে অল্প পরিচিত সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিল নামের একটি দলে ভিড়ে। বর্তমানে আদিয়ালা কারাগারে রয়েছেন পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা চলমান রয়েছে। এদিকে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন পিটিআইয়ের নেতাকর্মীরা।

 

এমন জয়ে ইমরানকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পিটিআই নেতা তৈমুর খান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে বলেন, ‘যতই কঠিন হোক না কেন, ইতিহাসের সঠিক পক্ষে আমরা আছি। আমাদের লড়াই চলবে।’