ইসরায়েলে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করতে এবং ইউএনআরডাব্লিউএকে সহায়তা স্থগিতের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে জার্মানিকে নির্দেশ দিতে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতকে (আইসিজে) অনুরোধ করেছে নিকারাগুয়া। দেশটির কূটনীতিক কার্লোস খোসে আর্গুয়েলিও গোমেজ বলেছেন, গাজায় গণহত্যার মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে।
এর আগে ইসরায়েলকে সমর্থন করে জার্মানি জেনোসাইড কনভেনশন লঙ্ঘন করছে বলে ১ মার্চ আইসিজেতে অভিযোগ করেছিল নিকারাগুয়া। এরপর সোম ও মঙ্গলবার শুনানির দিন নির্ধারণ করে আইসিজে।
হলোকস্টের সময় ৬০ লাখ ইহুদি হত্যার পর এমন ঘটনা যেন আর কোনো দেশে না ঘটে সেজন্য ১৯৪৮ সালে জেনোসাইড কনভেনশন তৈরি করেছিল জাতিসংঘ। আইসিজে জানুয়ারিতে দেওয়া এক রায়ে বলেছিলেন, গাজায় হামলার সময় ইসরায়েল জেনোসাইড কনভেনশনে নিশ্চিত করা কিছু অধিকার লঙ্ঘন করেছে বলে দক্ষিণ আফ্রিকা যে অভিযোগ এনেছে, তা বিশ্বাসযোগ্য।
সুইডেনের স্টকহোমের আন্তর্জাতিক শান্তি বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপ্রির হিসাব বলছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ইসরায়েলকে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সরবরাহ করা দেশের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের পরেই আছে জার্মানি।
এ দিকে ইসরায়েলে হামলায় ইউএনআরডাব্লিউএর ১২ কর্মী জড়িত ছিলেন বলে ইসরায়েলের অভিযোগের পর যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি সংস্থাটিকে সহায়তা স্থগিত করে দেয়।
হামাসের হামলায় ইসরায়েলের প্রায় এক হাজার ২০০ জন নিহত হয়েছে বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এর মধ্যে অন্তত সাড়ে ৮০০ জন সাধারণ নাগরিক। অন্যদিকে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে গাজার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সাধারণ নাগরিকদের ওপর নির্বিচারে হামলা চালানোর অভিযোগ এনেছে। ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় সমর্থক বলে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রও বলেছে, গাজায় সাধারণ নাগরিক নিহত হওয়ার সংখ্যা অনেক বেশি।