বিভিন্ন প্রবেশপথ দিয়ে দুর্ভিক্ষের মুখে থাকা অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজায় মানবিক ত্রাণের ‘বন্যা’ বইয়ে দেবে ইসরায়েল। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে এমনটাই জানিয়েছে দেশটি। কিন্তু ইসরায়েল বলছে, গাজায় কী পরিমাণ ত্রাণ যাবে তার কোনো সীমা নির্ধারণ করেনি তারা। ত্রাণ সংস্থাগুলোই সরবরাহ পাঠাতে দেরি করছে বলে উল্টো অভিযোগ করেছে তারা।
স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার ড্যানিয়েল হ্যাগারি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা গাজায় ত্রাণের বন্যা বইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি, মানবিক সহায়তা দিয়ে প্লাবিত করার চেষ্টা করছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা শিখছি, উন্নতি করছি এবং বিভিন্ন পরিবর্তন করছি, যাতে একটি বৈচিত্র্য তৈরি করতে পারি।’
যুদ্ধের পর থেকেই অবরুদ্ধ গাজায় প্রয়োজনীয় ত্রাণ সরবরাহ প্রবেশে বাধা দিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, অন্তত ছয়টি ত্রাণবাহী লরি নিরাপত্তা বেষ্টনীর ৯৬তম গেট দিয়ে গাজা ভূখণ্ডের উত্তরে প্রবেশ করেছে। গাজার এই অংশটিতেই ক্ষুধার সংকট সবচেয়ে তীব্র। হ্যাগারি আরো জানান, এ ধরনের আরো ত্রাণবহর যাবে এবং অন্য পয়েন্টগুলো দিয়ে আরো সরবরাহ প্রবেশ করবে, পাশাপাশি বিমান থেকে ত্রাণের প্যাকেট ফেলা ও সাগরপথে জাহাজভর্তি ত্রাণ আসাও চলতে থাকবে।
এদিকে জাতিসংঘ জানিয়েছে, তিন সপ্তাহের মধ্যে এই প্রথম নতুন একটি স্থলপথ ব্যবহার করে উত্তর গাজায় খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।
অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে জাতিসংঘের ত্রাণ সমন্বয়ক জেমি ম্যাকগোল্ডারিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ডাব্লিউএফপি ত্রাণবহর গাজা সীমান্ত বরাবর চলে যাওয়া সামরিক রাস্তা ধরে গাজার উত্তরে এগিয়েছে। মঙ্গলবার দিনের শুরুতে ২৫ হাজার মানুষের জন্য যথেষ্ট খাবার গাজা সিটিতে সরবরাহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাব্লিউএফপির মুখপাত্র শাজা মঘরাবি। মঘরাবি বলেন, ‘আমরা সরবরাহ বাড়ানোর আশা করছি। আমাদের বিশেষ করে দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে থাকা গাজার উত্তরাঞ্চলে নিয়মিত ত্রাণ নিয়ে প্রবেশ করা প্রয়োজন। আমাদের সরাসরি গাজার উত্তরে প্রবেশপথ থাকা প্রয়োজন।’