শেহবাজ শরিফ সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বিতীয়বারের মতো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য শপথ নিয়েছেন। প্রায় চার সপ্তাহ আগে দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও জোট সরকার গঠনে বিলম্ব হয়।
এদিন ৭২ বছর বয়সী শেহবাজ শরিফ রাজধানী ইসলামাবাদে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে আয়োজিত শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দেশটির ২৪তম নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভি।
আরো পড়ুন : দ্বিতীয় মেয়াদে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ
শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী একটি কালো শেরওয়ানি পরেছিলেন। রাষ্ট্রীয় টিভিতে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। এতে বেসামরিক, সামরিক, আমলা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ, গ্রেপ্তার ও সহিংসতার কারণে ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়া নির্বাচন বিঘ্নিত হয়েছে এবং অস্বাভাবিকভাবে বিলম্বিত ফলাফল ভোটে কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। ইমরান খান সমর্থিত প্রার্থীরা সর্বাধিক আসনে জয়ী হলেও পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) জোট সরকার গঠনে সম্মত হয়। পিএমএল-এনের নেতৃত্বে রয়েছেন শেহবাজ শরিফের বড় ভাই ও তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ।
সরকারি সূত্র অনুসারে, তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার-উল-হক কাকার প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে নতুন প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন। শেহবাজও গত বছরের ১৪ আগস্ট সেখানে কাকারকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। কাকার ইতিমধ্যে বাড়িটি খালি করেছেন।
অর্থনীতিবিদ, বিনিয়োগকারী ও বিদেশিরা এখন পাকিস্তানের মন্ত্রিসভা, বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ অর্থসংক্রান্ত শরিফের ঘোষণার জন্য ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। পরবর্তী অর্থমন্ত্রীকে অবিলম্বে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সঙ্গে একটি নতুন চুক্তির জন্য কঠোর আলোচনা করতে হবে। কারণ বর্তমান চুক্তির মেয়াদ এপ্রিলে শেষ হবে। পিএমএল-এন সূত্র অনুসারে, চারবারের সাবেক অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার এখনো এই পদের জন্য শীর্ষ প্রতিদ্বন্দ্বী। যদিও আরো বেশ কয়েকজন প্রার্থীকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে।