পাকিস্তানে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সহিংসতার মধ্যেই আজ বৃহস্পতিবার সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনে বিজয়ী দলই আগামী পাঁচ বছরের জন্য সংকটজর্জরিত দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিকে নেতৃত্ব দেবে। এদিকে পাকিস্তানে নির্বাচনের প্রাক্কালে জোড়া বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছে। বেলুচিস্তানে গতকাল বুধবার এই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
বিশ্বের পঞ্চম জনবহুল দেশ পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যা ২৪ কোটি। এর মধ্যে ১২ কোটি ৮০ লাখ মানুষের ভোটাধিকার রয়েছে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন প্রায় ১৮ হাজার প্রার্থী। ২৬৬টি আসনে লড়াই হচ্ছে, আরো ৭০টি আসন নারী ও সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত।
এবারের নির্বাচনে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইসনাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান নিজে অংশ নিতে পারছেন না। দলীয় প্রতীক ‘ব্যাট’ হারিয়ে কারাবন্দি ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর দলের সদস্যরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিলেও পিটিআইয়ের সরকার গঠন নিয়ে তেমন আশা দেখছেন না বিশ্লেষকরা। তাই বিশ্লেষকদের ধারণা, নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) প্রার্থী নওয়াজ শরিফ ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রার্থী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির মধ্যে।
এদিকে অবাধ ও সুষুম নির্বাচনের জন্য গতকাল থেকেই প্রায় পাঁচ লাখ নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গ্রেপ্তারসহ নানা ধরনের বিতর্কিত ঘটনায় পাকিস্তানে এবারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হওয়ার পর অন্তত দুজন প্রার্থীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ছাড়া দেশজুড়ে একাধিক হামলার ঘটনার কথা জানা গেছে।
গতকাল স্থানীয় সময় দুপুরে বেলুচিস্তানের প্রাদেশিক রাজধানী কোয়েটা শহর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পিশিন জেলায় একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর কার্যালয়ে প্রথম বিস্ফোরণটি ঘটে। প্রথম বিস্ফোরণের কিছুক্ষণ পরই কিল্লা সাইফুল্লাহ শহরে জমিয়তে উলেমা-ই-ইসলাম ফজলের (জেইউআই-এফ) নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনে দ্বিতীয় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।