আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: বিরোধীদের দাবি, স্মৃতিভ্রংশের সমস্যায় ভুগছেন জো বাইডেন। যদিও সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে ডেমোক্র্যাটদের তরফে জানানো হয়েছে, সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্য সফরে আশি ছুঁইছুঁই বাইডেনের অসংলগ্ন কথায় সেই গুঞ্জন ফের উসকে উঠছে। চারদিনের সফরে ইতোমধ্যেই বাইডেনকে ভুল করে হলোকাস্ট অর্থাৎ ইহুদিদের উপরে নাৎসিদের গণহত্যাকে ‘সম্মাননীয়’ বলতে শোনা যায়। এবার তিনি মার্কিন সেনাকে ‘স্বার্থপর’ বলে বসলেন! যা নিয়ে বিতর্ক ঘনিয়েছে।
তাকে বলতে শোনা গেছে, আমরা সব সময়ই মার্কিন সেনার সাহস আর স্বার্থপরতা… মানে স্বার্থহীনতা এবং তাদের বলিদানকে সম্মান করি। ভাষণের সময় এহেন ভুল, বলা ভালো একেবারে বিপরীতার্থক শব্দ ব্যবহার এর আগের দিনও করেছেন তিনি। তবে এবারের মতোই পরক্ষণেই নিজেকে শুধরে হলোকাস্টের ‘আতঙ্কে’র উল্লেখ করেন। একজন রাষ্ট্রপ্রধানের এই ধরনের ভুল ঘিরে স্বাভাবিক ভাবেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
কেবল ভুল বলে ফেলাই নয়, সফরে আরও বিতর্কে জড়িয়েছেন বাইডেন। বলা হয়, ‘অস্ত্রের বেসাতি’র কথা মাথায় রেখেই সেই সময় বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ ছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এহেন পরিস্থিতিতে শুক্রবার (১৫ জুলাই) জেদ্দায় সালমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাইডেন। তখনই দুজনকে ‘ফিস্ট বাম্প’ (পরস্পরের দিকে মুঠো ছুঁড়ে অভিবাদন) করতে দেখা যায়। ফলে তৈরি হয় বিতর্ক। প্রশ্ন ওঠে, তবে কি সালমানকে ক্লিন চিট দিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট? তারপরই অবস্থান বদলে বাইডেন জানান, সাংবাদিক জামাল খাশোগ্গি হত্যায় সরাসরি সৌদি যুবরাজকে দায়ী করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বাইডেনের তিনদিনের এই মধ্যপ্রাচ্য সফরকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। তাকে সে বিষয়ে বলতে শোনা গিয়েছে, ৯/১১-র পরে এই প্রথম সেনা ছাড়া কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই অঞ্চলে এল। এরপরই মার্কিন সেনার প্রসঙ্গটি উঠে আসে তার মুখে নিয়ে। নিজেকে শুধরে নেয়ার পরে তিনি উল্লেখ করেন, শহিদ মার্কিন সেনার মধ্যে রয়েছেন তার পুত্র মেজর বিউ বাইডেনও।