মানবপাচার সন্দেহে আটকে দেওয়া ভারতীয় যাত্রীবাহী বিমান থেকে দুজনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে ফ্রান্সের পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ফরাসি কর্তৃপক্ষ। খবর এনডিটিভির।
এর আগে গতকাল শুক্রবার ভারতীয় যাত্রীবাহী এয়ারবাস এ-৩৪০ বিমানটি আটকে দেয় ফ্রান্স।
ফরাসি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি প্যারিসে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসকে জানিয়েছে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষও ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ফরাসি কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা খবর পেয়েছে যে বিমানে মানবপাচার করা হচ্ছে। সে জন্য বিমানটি থামিয়ে দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। দেশটির বিশেষজ্ঞ একটি ইউনিট তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
লিজেন্ড এয়ারলাইনসের একজন আইনজীবী লিলিয়ানা বাকায়োকো বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘তারা কোনো ভুল করেননি, কোনো অপরাধ করেননি এবং ফরাসি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য অপেক্ষা করছি।
ফ্রান্সে ভারতীয় দূতাবাস এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্টে বলেছে, ‘৩০৩ জন যাত্রী নিয়ে একটি বিমান দুবাই থেকে নিকারাগুয়া যাত্রা শুরু করে। কিন্তু ফরাসি বিমানবন্দরে যান্ত্রিক কারণে অবতরণ করলে তাদের আটকানো হয়। ফরাসি কর্তৃপক্ষ আমাদের বিষয়টি জানিয়েছে। বিমানে বেশির ভাগই ভারতীয় বংশোদ্ভূত যাত্রী রয়েছেন।
বার্তা সংস্থা এএফপির মতে, কর্মকর্তারা সন্দেহ করছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডায় অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা করার জন্য পরিকল্পনা করেছিলেন কিছু যাত্রী। ফ্রান্সে অবতরণের পর তাদের প্রথমে বিমানের ভেতরেই রাখা হয়েছিল। কিন্তু পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, ৩০৩ জন ভারতীয় বিমানবন্দরেই রাত কাটিয়েছেন এবং কখন তারা আবার উড়াল দেওয়ার অনুমতি পাবেন, সে সম্পর্কে কর্মকর্তারা এখনো কিছু বলতে পারেননি।
ফরাসি সীমান্ত পুলিশ প্রাথমিকভাবে একজন বিদেশি নাগরিককে চার দিন পর্যন্ত আটকে রাখতে পারে, যদি তারা ফ্রান্সে অবতরণ করে। ফরাসি আইন সেই সময়কালকে আট দিন পর্যন্ত বাড়াতে পারে যদি একজন বিচারক তা অনুমোদন করেন। তবে ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে আট দিন থেকে সর্বোচ্চ ২৬ দিন পর্যন্ত আটকে রাখতে পারে।