চাহিদার ব্যাপক বৃদ্ধি সত্ত্বেও কমেছে অস্ত্র বিক্রি থেকে আয়। বিশ্বের ১০০টি শীর্ষ অস্ত্র উৎপাদকের আয় পর্যালোচনা করে সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসআইপিআরআই)। এক বছর আগের তুলনায় তাদের আয় ২০২২ সালে ৩.৫ শতাংশ কমে ৫৯৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
থিংকট্যাংক এসআইপিআরআই তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, প্রধান মার্কিন কম্পানিগুলোতে অস্ত্র বিক্রি থেকে আয় হ্রাস এ পতনের জন্য দায়ী। তবে অসমাপ্ত অস্ত্র সরবরাহ এবং নতুন চুক্তি বৃদ্ধির কারণে আগামী কয়েক বছরে বিশ্বব্যাপী এ খাতে আয় বাড়বে বলে ধারণা থিংকট্যাংকটির।
২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামের ক্রমবর্ধমান চাহিদা থাকা সত্ত্বেও কম্পানিগুলো শ্রমের ঘাটতি, ক্রমবর্ধমান খরচ এবং সরবরাহ শৃঙ্খলে বাধার কারণে তাদের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য লড়াই করেছে। এমনটাই জানিয়েছেন এসআইপিআরআইয়ের সামরিক ব্যয় ও অস্ত্র উৎপাদন কর্মসূচির পরিচালক লুসি বেরাউড-সুড্রেউ।
সুড্রেউ জোর দিয়ে বলেছেন, নতুন স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলো, বিশেষ করে গোলাবারুদের জন্য, ২০২৩ সালে এবং তার পরেও আয় অনেক বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে শীর্ষ ১০০ কম্পানির মধ্যে ৫১ শতাংশ শেয়ার নিয়ে আধিপত্য বিস্তার করে ৪২টি মার্কিন কম্পানি। তাদের অস্ত্র থেকে আয় বছরে ৭.৯ শতাংশ কমে ২০২২ সালে ৩০২ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
অন্যদিকে র্যাংকিংয়ে তালিকাভুক্ত এশিয়া ও ওশেনিয়ার ২২টি কম্পানির পরিসংখ্যান একই বছরে ৩.১ শতাংশ বেড়ে ১৩৪ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
দেশ অনুসারে অস্ত্র বিক্রি থেকে আয় করা শীর্ষ ১০০-এর তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে চীন। ২০২২ সালে আটটি চীনা কম্পানির আয় ২.৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১০৮ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
তথ্যের অভাবের কারণে শুধু দুটি রুশ কম্পানি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের সম্মিলিত অস্ত্র আয় ১২ শতাংশ কমে ২০.৮ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।