ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডের লায়েন শনিবার বলেছেন, তিনি মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতেহ আল সিসির সঙ্গে কায়রোতে এক বৈঠকে ‘ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির’ বিরোধিতা করেছেন।
ভন ডের লায়েন এক্সে লিখেছেন, সিসির সঙ্গে বৈঠকে তিনি অরক্ষিত ফিলিস্তিনিদের মানবিক সহায়তা ও সুবিধা প্রদানে মিসরকে তার মূল ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। পাশপাশি গাজায় চলমান মানবিক সংকট এবং একটি দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের ওপর ভিত্তি করে রাজনৈতিক সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযান চালাচ্ছে।
মিসরীয় সীমান্ত অঞ্চলের গভর্নর এক বিবৃতিতে বলেছেন, ভন ডের লায়েন বৈঠকের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবিক কাফেলার আগমনের জন্য উত্তর সিনাই পৌঁছেছেন। সেখানে তিনি রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং ও সহায়তা কার্যক্রম পরিদর্শন করবেন। এ ছাড়া তিনি উত্তর সিনাইয়ে আহত ফিলিস্তিনিদের দেখতে যাবেন বলেও আশা করা হচ্ছে।
গাজার সঙ্গে রাফাহ ক্রসিং থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে এল-আরিশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কয়েক সপ্তাহ ধরে আন্তর্জাতিক সহায়তা পৌঁছেছে। ক্রসিংটি একমাত্র ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড, যা ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে নেই এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় সহায়তা পাঠানোর একমাত্র প্রবেশপথ।
এ ছাড়া ২০২২ সালে ভন ডের লায়েনের মিসরে শেষ সফরের সময় ইসরায়েল ও মিসর ইউরোপকে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। ইইউর একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, মিসর বিশাল জনসংখ্যার একটি বড় দেশ, যার অবস্থান কৌশলগতভাবে ইইউর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যতে নতুন সুযোগ, বিশেষ করে জ্বালানি ও হাইড্রোজেনের সহযোগিতার সম্ভাবনার কথাও জানান তিনি।
প্রধান রপ্তানিকারক হওয়ার লক্ষ্যে কায়রো তার প্রাকৃতিক গ্যাস শিল্পের বিকাশের জন্য বিগত বছরগুলোতে বিলিয়ন বিলিয়ন অর্থ বিনিয়োগ করেছে। আগস্টে গবেষক সেবাস্তিয়ান ডুগেট বলেন, ‘বিদ্যমান প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইন দিয়ে ২০৫০ সালে মিসরের ইউরোপে প্রধান হাইড্রোজেন রপ্তানিকারক হওয়ার উপায় রয়েছে।’
ভন ডের লায়েনের সফরের সময় অভিবাসনের বিষয়টি আলোচ্যসূচিতে থাকবে বলেও ইউরোপীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
সূত্র : এএফপি