তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান বুধবার বলেছেন, ইসরায়েল একটি ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’, যা যুদ্ধাপরাধ করছে এবং গাজায় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে। তিনি প্রায়ই ইসরায়েলি নেতা ও পশ্চিমে তাদের সমর্থকদের সমালোচনা করেন।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সঙ্গে দেখা করার জন্য জার্মানিতে পরিকল্পিত সফরের দুই দিন আগে এরদোয়ান বলেন, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের মধ্যে রয়েছে পশ্চিমের ‘সীমাহীন’ সমর্থনসহ ‘মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বিশ্বাসঘাতক হামলা’।
এ ছাড়া ইসরায়েলি নেতাদের হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে যুদ্ধাপরাধের জন্য বিচারের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কিছু আরবদেশ হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বলে মনে করে। অন্যদিকে আংকারা হামাসের কিছু সদস্যকে আতিথ্য করে এবং ইসরায়েল-ফিলিস্তিন বিরোধের দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানকে সমর্থন করে।
পার্লামেন্টে ইসরায়েল সম্পর্কে এরদোয়ান বলেন, ‘বেসামরিকদের ওপর বোমাবর্ষণের বর্বরতার সঙ্গে তাদের বাড়িঘর থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে, তারা আক্ষরিক অর্থে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদকে কাজে লাগাচ্ছে।
তুর্কি প্রেসিডেন্টবলেন, ‘আমরা কখনোই এই সত্য কথা বলতে পিছপা হব না যে হামাস সদস্যরা দখলদারি নীতির মুখে তাদের ভূমি, সম্মান ও জীবন রক্ষার প্রতিরোধ যোদ্ধা। কিছু লোক এতে অস্বস্তি বোধ করে।’
হামাসের হামলার জবাবে ইসরায়েল ৭ অক্টোবর গাজায় বোমাবর্ষণ শুরুর পর থেকে এরদোয়ানের জার্মানি সফর হবে পশ্চিমা কোনো দেশে তার প্রথম সফর।
এরদোয়ান বলেন, ‘পশ্চিম, অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র, দুর্ভাগ্যবশত এখনো এই সমস্যাটি নিয়ে তারা পশ্চাদমুখী।’
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ইসরায়েলের পারমাণবিক অস্ত্র আছে কি না, তা ঘোষণা করার আহ্বান জানিয়ে এরদোয়ান বলেন, নেতানিয়াহু শিগগিরই তার পদ হারাবেন।
এ ছাড়া ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যকার যুদ্ধকে খ্রিস্টান ও মুসলিমবিশ্বের মধ্যে যুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করেছেন এরদোয়ান। আংকারা অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে স্বীকৃতি নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সূত্র : রয়টার্স