ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রতিবছর সীমান্তে নিরাপত্তা ঘাঁটিতে জোয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এ বছরও তার অন্যথা হলো না। এই দীপাবলিতে হিমাচল প্রদেশের লেপচায় নিরাপত্তা ঘাঁটিতে গেলেন নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে উৎসব উদযাপন করবেন তিনি।
লেপচায় পৌঁছনোর পর টুইটারে ছবি পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ছবিতে দেখা যায়, সেনাবাহিনীর উর্দি পরে রয়েছেন তিনি। জোয়ায়ানদের সঙ্গে কথা বলছেন। জোয়ানদের মিষ্টি খাওয়ানোর ছবিও পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
অন্য এক পোস্টে মোদি বলেছেন, ‘পরিবার থেকে দূরে থেকে জাতির এই অভিভাবকরা তাদের উৎসর্গ দিয়ে আমাদের জীবনকে আলোকিত করছেন।’
ভারতীয় বাহিনীর সাহস অটুট উল্লেখ করে মোদি বলেন, ‘সবচেয়ে কঠিন ভূখণ্ডে অবস্থান করে, প্রিয়জনদের থেকে দূরে থেকে, তাদের ত্যাগ ও উৎসর্গ আমাদের নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখে। ভারত সব সময় এই বীরদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবে, যারা সাহসিকতা ও স্থিতিস্থাপকতার নিখুঁত মূর্ত প্রতীক।’
লেপচায় সেনাদের এক সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি জানান, তিনি প্রতিটি দীপাবলি সীমান্তে জোয়ানদের সঙ্গে কাটান।
যেসব নিরাপত্তাচৌকিতে সেনা মোতায়েন করা হয়, সেগুলো মন্দিরের চেয়ে কম নয় বলেও মন্তব্য করেছিলেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে প্রতিবছরই দেশের জোয়ায়ানদের সঙ্গে দীপাবলি পালন করেন মোদি। গত বছর একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে এক জোয়ান গান গাইছেন।
২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসে বিজেপি। সে বছর দীপাবলিতে সিয়াচেন গিয়ে জোয়ায়ানদের সঙ্গে দীপাবলি পালন করেছিলেন মোদি। ২০১৫ সালে পাঞ্জাব সীমান্তে গিয়েছিলেন। ২০১৬ সালে হিমাচলে চীন সীমান্তে তিনি কাটিয়েছিলেন দীপাবলি। ২০১৭ সালে কাশ্মীরের গুরেজ সেক্টর, ২০১৮ সালে উত্তরাখণ্ডের হর্ষিলে গিয়েছিলেন মোদি। ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরিতে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে জোয়ানদের সঙ্গে উদযাপন করেছিলেন দীপাবলি। ২০২০ সালে জয়সলমেরের লঙ্গেওয়ালা, ২০২১ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের নওসেরা এবং ২০২২ সালে দীপাবলির দিন কার্গিলে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা, এনডিটিভি