দুই মাস আগে ভারতে জি২০ সম্মেলনের শেষ দিনে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছিলেন, ভারতের সভাপতিত্ব থাকতে থাকতে জোটভুক্ত দেশগুলোর আরো একটি বৈঠক (ভিডিও লিংকে) হবে। সে সময় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বরাজনীতি জোটে বিভক্ত ছিল, কিন্তু তখনো পরিস্থিতি এমন জটিল হয়ে ওঠেনি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২২ নভেম্বর ভিডিও লিংকে হবে জোটের সেই বৈঠকটি। কিন্তু ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সচিবালয়ের অস্বস্তি বাড়িয়েছে চরম মেঘাচ্ছন্ন কূটনৈতিক আকাশ।
অন্যদিকে অন্যতম জি২০ সদস্য কানাডার সঙ্গে চলছে সংঘাত।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনো যৌথ বিবৃতি দেওয়া হবে না বৈঠকের পরে। বড় জোর ভারতের পক্ষ থেকে বিবৃতি দেওয়া হবে।
মন্ত্রণালয় মনে করিয়ে দিচ্ছে, জি২০-তে বছরে একটির বেশি সম্মেলন আগেও হয়েছে। ২০২১ সালে ইতালিতে একটি বাড়তি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। তবে সেটি হয়েছিল তালেবান আফগানিস্তান দখলের পর, কাবুল পরিস্থিতি নিয়ে।
আগামী ১ ডিসেম্বর ভারতের সভাপতিত্বের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী গত মাসেই জানিয়েছেন, প্রত্যেকটি দেশকেই এই ভিডিও সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ভারত আশা করছে সন্তোষজনক প্রতিনিধিত্ব হবে। কিন্তু কানাডার স্পিকার অনুপস্থিত ছিলেন গত মাসে নয়াদিল্লিতে আয়োজিত জি২০ সম্মেলনে। দুই মাস হয়ে গেল কানাডার সঙ্গে ভারতের টানাপড়েন চলছে। এক খলিস্তানপন্থী নেতার হত্যায় ‘ভারতের হাত’ থাকার অভিযোগ তোলার পর অবিরাম বাগযুদ্ধ চলছে। বিতর্কে যোগ দিতে দেখা যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রকেও। ফলে ভারতের সভাপতিত্বে আসন্ন জি২০ ভিডিও সম্মেলনে কানাডা থাকবে কি না তা এখনো অনিশ্চিত।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা