লেবাননের সামরিক গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে বলেছেন, আঞ্চলিক যুদ্ধ প্রতিরোধ গাজায় ইসরায়েলি আক্রমণ বন্ধ করার ওপর নির্ভর করে এবং লেবাননের ফ্রন্টে সংঘর্ষ ‘বিস্তৃত যুদ্ধে’ পরিণত হওয়ার বাস্তবসম্মত সম্ভাবনা রয়েছে।
৭ অক্টোবর ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ প্রথম ভাষণ দেন। এদিন তিনি ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রকেও হুমকি দিয়েছেন। তার ইরান-সমর্থিত দল ভূমধ্যসাগরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ মোকাবেলা করতে প্রস্তুত বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
নাসরুল্লাহ বলেছেন, ‘আপনারা, আমেরিকানরা, গাজার বিরুদ্ধে আগ্রাসন বন্ধ করতে পারেন। কারণ এটি আপনাদের আগ্রাসন। যারা আঞ্চলিক যুদ্ধ ঠেকাতে চায়, আমি আমেরিকানদের বলছি, তাদের অবশ্যই গাজার ওপর আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আপনারা, আমেরিকানরা, খুব ভাল করেই জানেন যে এই অঞ্চলে যুদ্ধ শুরু হলে, আপনাদের নৌবহর কোনো কাজে আসবে না, আকাশ থেকে যুদ্ধ করে কোনো লাভ হবে না।
ভূমধ্যসাগরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজের কথা উল্লেখ করে হিজবুল্লাহপ্রধান বলেন, হিজবুল্লাহ এসব ভয় পায় না। ‘আমি আপনাদের আন্তরিকতার সঙ্গে বলছি, আমরা আপনাদের নৌবহরের জন্য ভালোভাবে প্রস্তুত হয়েছি, যা নিয়ে আপনারা আমাদের হুমকি দিচ্ছেন।’
ইসরায়েল হামাস শাসিত গাজায় ধ্বংসাত্মক অবরোধ আরোপ করে।
এ ছাড়া গাজা যুদ্ধের সূত্রপাত হওয়ার পর থেকে ইরান সমর্থিত শক্তিশালী সামরিক বাহিনী হিজবুল্লাহ ২০০৬ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ করার পর থেকে লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সবচেয়ে মারাত্মক সংঘর্ষে জড়িয়েছে।
নাসরুল্লাহ বলেছেন, হিজবুল্লাহ লেবাননের ফ্রন্টে দিন দিন উত্তেজনা বাড়াচ্ছে, ইসরায়েলকে গাজা উপত্যকা ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অধিকৃত পশ্চিম তীরের পরিবর্তে তার উত্তর সীমান্তের কাছে বাহিনী রাখতে বাধ্য করেছে।