হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ সামরিক কমান্ডার ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন। গাজা সিটিতে ইসলামপন্থী গোষ্ঠীর বিমান অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী স্থানীয় সময় শনিবার এই তথ্য জানিয়েছে।

ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান হামাসের একটি অপারেশনাল সেন্টারে আঘাত হানলে মুরাদ আবু মুরাদ নিহত হন।

 
ওই  অপারেশনাল সেন্টার থেকে হামাস আকাশ পথে ইসরায়েলে হামলা চালাত বলে সামরিক বাহিনী বলেছে। তবে হামাসের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। 

 

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, তারা ‘সন্ত্রাসীদের’ আস্তানা এবং অবকাঠামোগুলো নির্মূল করতে গাজান অঞ্চলে অভিযান শুরু করেছে। আইডিএফ আরো জানিয়েছে, হামাস জিম্মিদের কোথায় রেখেছে, সে বিষয়ে সৈন্যরা কিছু তথ্য পেয়েছে।

 
জিম্মিদের সনাক্ত করতে তথ্যগুলো তাদের সহায়তা করবে।

 

এদিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। সেখানে তারা লিখেছে, ‘ইসরায়েলি বিমান বাহিনী গাজায় হামাসের সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তু এবং অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল লঞ্চারগুলোতে হামলা চালিয়েছে।’ বিমান বাহিনী বলেছে, আইডিএফ গাজা উপত্যকায় স্থাল অভিযান শুরু করেছে।

 
তারা ওই সব এলাকা থেকে সন্ত্রাস ও অস্ত্র নির্মূল করতে চেষ্টা করবে। এ ছাড়া নিখোঁজ ব্যক্তিদের সনাক্ত করা হবে।

 

হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলের দক্ষিণাংশে নজিরবিহীন হামলা চালানোর এক সপ্তাহের মাথায় এই স্থল অভিযান শুরু হল। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত শনিবারের ওই হামলার পর ইসরায়েলি বাহিনী কেবল আকাশপথেই গাজায় আক্রমণ চালিয়ে আসছিল। এবার তা স্থল যুদ্ধের রূপ নিল।

 

 

গত সপ্তাহে শুরু হওয়া এই যুদ্ধে, ইসরায়েলে এক হাজার ৩০০ জনেরও বেশি এবং গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বোমা হামলার পর প্রায় দুই হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।