রাশিয়ার কৃষ্ণসাগরীয় নৌবহরের শীর্ষ কমান্ডার অ্যাডমিরাল ভিক্টর সোকোলভসহ ৩৩ জন কর্মকর্তাকে হত্যার দাবি করেছিল ইউক্রেনের বিশেষ বাহিনী। গত সপ্তাহে ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সেভাস্তোপোলে রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগরে নৌবহর সদর দপ্তরে ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তারা নিহত হন বলে জানা গিয়েছিল। তবে ইউক্রেন শীর্ষ নৌ কমান্ডার অ্যাডমিরাল ভিক্টর সোকোলভকে হত্যার দাবি করলেও রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। ভিডিওটিতে তাকে একটি সম্মেলনে দেখানো হয়েছে।
ফুটেজে সোকোলভকে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা গেছে। তবে কখন ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছিল তা এখনো স্পষ্ট নয়। গত মঙ্গলবার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে বলে দেশটির মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। রাশিয়ার প্রকাশ করা ভিডিওটি আট মিনিটের।
ইউক্রেনের বিশেষ বাহিনী এক বিবৃতিতে শীর্ষ নৌ কমান্ডারসহ ৩৩ কর্মকর্তার মৃত্যুর খবর বললেও কোনো প্রমাণ তারা দেখাতে পারেনি। তবে ইউক্রেন এখন বলছে, ‘মৃতদেহগুলোর অবস্থা ভালো নয়, তাই তাদের এখনো শনাক্ত করা যায়নি।’ রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সোকোলভের ভিডিও প্রকাশের পর ইউক্রেন তার দাবি থেকে কিছুটা পিছিয়ে যাচ্ছে।
ইউক্রেনের নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ সিএনএনকে বলেছেন, ‘অ্যাডএম সুকোলভ মারা গেলে এটি সবার জন্য সুখবর, তবে এখনো তা নিশ্চিত নয়।’ এ থেকেই বোঝা যায়, গতকাল আত্মবিশ্বাস নিয়ে দাবি করার পর ইউক্রেনের সুরের সুনির্দিষ্ট পরিবর্তন।
২০১৪ সালে অভিযান চালিয়ে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া উপদ্বীপের দখল নেয় রাশিয়া। গত বছর ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর এই অঞ্চলটি ইউক্রেনের হামলার শিকার হচ্ছে। সম্প্রতি ক্রিমিয়ায় ইউক্রেনের হামলা বাড়ছে। রাশিয়ার নিযুক্ত কর্তৃপক্ষ ক্রিমিয়ায় ইউক্রেনের ক্রমবর্ধমান হামলা মোকাবেলার জন্য অতিরিক্ত ব্যবস্থা নিয়েছে। রাশিয়া গুরুত্বপূর্ণ এই অঞ্চল থেকে ইউক্রেনে অনেকবার বিমান হামলা চালিয়েছে।