প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জয়ের স্বপ্ন পূরণ হয়েছিল ১৭ মে। ওই দিন আবাহনী পনেরতম রাউন্ডে ফর্টিস এফসির কাছে হেরে যাওয়ার পরই শিরোপা নিশ্চিত হয়েছিল মোহামেডানের। তারপর থেকে সাদা-কালোদের অপেক্ষা ছিল কবে সেই স্বপ্নের ট্রফি ছুঁতে পারবে।
অবশেষে আজ শুক্রবার সেই মাহেন্দ্রক্ষণ এসেছে মোহামেডানের। কুমিল্লায় নিজেদের হোমভেন্যুতে সাদা-কালোরা গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ট্রফি।
এই মৌসুমে মোহামেডান চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ৩ ম্যাচ হাতে রেখেই। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দ নিয়ে মোহামেডান পরের ম্যাচে মাঠে নেমে হেরে যায় রহমতগঞ্জের কাছে। আর শুক্রবার ১৭ তম রাউন্ডের ম্যাচ ড্র করেছে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে।
মোহামেডানের এখন ড্র করলেই কি, আর হারলেই কি? পয়েন্ট যোগ না হলেই বা কি? তাই তো ৩-১ গোলে এগিয়ে যাওয়া ম্যাচও সাদা-কালোরা ড্র করেছে শেষ ২০ মিনিটে দুই গোল খেয়ে।
তাতে কি? ম্যাচ শেষে ঠিকই চ্যাম্পিয়ন লেখা সোনালী রঙের টি-শার্ট গায়ে দিয়ে কুমিল্লার ভাষা শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়নশ উদযাপন করেছে মোহামেডান। ঢাকায় ফিরে রাতে ক্লাব প্রাঙ্গনে আরেক দফা উৎসব করবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের নতুন চ্যাম্পিয়ন দলটি।
ঘরোয়া ফুটবলের সবচেয়ে বড় ও মর্যাদার টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন দলের কাচে ট্রফি হস্তান্তরের সময় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) হাতেগোনা কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। সিনিয়র সহসভাপতি ও প্রফেশনাল লিগ কমিটির সদস্য ইমরুল হাসানের সঙ্গে ছিলেন নির্বাহী কমিটির সদস্য ছাইদ হাছান কানন।
কানন অবশ্য মোহামেডানের গোলরক্ষক কোচ। সদস্যদের মধ্যে জাকির হোসেন চৌধুরী ও গোলাম গাউস ও সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া শাহিন ছিলেন। সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন দুষার ছিলেন ট্রফি প্রদান অনুষ্ঠানে।
ব্রাদার্সের বিপক্ষে এই ম্যাচে মোহামেডানের ৩ গোলের দুটি করেছেন অধিনায়ক সোলেমান দিয়াবাতে। আরেক গোল করেছেন মেহেদী হাসান মিঠু। ব্রাদার্সের হয়ে গোল করেছেন সেনেগালের দিয়ারা, নাইজেরিয়ান এমফন সানডে এবং স্থানীয় জুয়েল রানা। এই ড্রয়ে চ্যাম্পিয়ন মোহামেডানের পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ালো ৩৯ এবং ব্রাদার্সের ২৭।
এই ম্যাচ খেলে ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন ব্রাদার্সের গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা।