স্বপ্নটা দ্রুতই পূরণ হলো শরীফুল ইসলামের। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে মুখোমুখি দ্বিতীয় বলেই স্বপ্নের উইকেট পেয়েছেন তিনি। টেস্ট শুরুর আগে বাবর আজমকে আউট করা তার স্বপ্ন এমনটি জানিয়েছিলেন বাঁহাতি পেসার।

সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলতে নেমে সেই স্বপ্ন পূরণও করলেন শরীফুল।

দ্বিতীয় বলেই বাবরকে ড্রেসিংরুমের পথ দেখিয়েছেন তিনি। এর জন্য অবশ্য লিটন দাস বাঁহাতি পেসারের কাছ থেকে ধন্যবাদ একটা প্রাপ্য। কারণ পাখির মতো বাঁ দিকে লাফ দিয়ে বাবরের ক্যাচটা তালুবন্দি না করলে যে শরীফুলের স্বপ্ন পূরণের অপেক্ষা হয়তো আরো দীর্ঘ হতো।

 

শরীফুলের স্বপ্ন পূরণের দিনে শূন্য রানে ফিরেছেন বাবর।

টেস্ট ক্যারিয়ারে এ নিয়ে আটবার শূন্য রানে আউট হলেন পাকিস্তানের সীমিত ওভারের অধিনায়ক। বাবরকে আউট করার বিষয়ে শরীফুল বলেছিলেন, ‘আমার স্বপ্নের উইকেট বাবর আজম। বাবর আজম ভাইয়ের উইকেট পেলে আমার খুব ভালো লাগবে। গত বছর তার সঙ্গে এলপিএল খেলেছি৷ মানুষ হিসেবেও তিনি খুব ভালো।

 

বাবর এবং শান মাসুদ বাংলাদেশের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ বলেও জানিয়েছিলেন শরীফুল। আজ দুজনকেই তিনি ফিরিয়ে বাংলাদেশকে দুর্দান্ত শুরু এনে দিয়েছেন। তার তোপে ১৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে পাকিস্তান। অন্য উইকেটটা নেন হাসান মাহমুদ। তবে উইকেট পাওয়াতে পেসার হাসানের যতটুকু অবদান তার চেয়ে ঢের বেশি ফিল্ডার জাকিরের।

যেভাবে গ্যালিতে অ্যাক্রোব্যাটিক ক্যাচ নিলেন তা এককথায় অবিশ্বাস্য। নিজের ডান দিকে ঝাঁপ দিয়ে চিতা বাঘের মতো ‘শিকার’ আবদুল্লাহ শফিককে ধরে ফেলেন বাঁহাতি ব্যাটার। 

 

শুরুর ধাক্কা অবশ্য এখন কাটিয়ে উঠেছে পাকিস্তান। চতুর্থ উইকেটে অপরাজিত ৫৬ রানের জুটি গড়ে দলের হাল ধরেছেন দুই ব্যাটার সৌদ শাকিল ও সাইম আইয়ুব। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পাকিস্তানের রান ৩ উইকেটে ৭২। সাইমের ৩৬ রানের বিপরীতে ২৫ রানে অপরাজিত আছেন শাকিল।