উয়েফা সুপার কাপের ফাইনাল গতকাল রিয়াল মাদ্রিদের জন্য রেকর্ডের পসরা সাজিয়ে বসেছিল। লস ব্ল্যাংকোসরা চ্যাম্পিয়ন হলেই কোচ ও খেলোয়াড়রা নতুন নতুন রেকর্ডে নাম তুলবেন। আতালান্তার বিপক্ষে গতকাল ২-০ গোলের জয়ে সেই সব রেকর্ড বাস্তবেও পূরণ হয়েছে।
ফাইনালে অবশ্য গতকাল সবার নজর ছিল কিলিয়ান এমবাপ্পের দিকে।
এমবাপ্পের এমন অভিষেকের রাতে উয়েফা সুপার কাপের সর্বোচ্চ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড গড়েছে রিয়াল।
দলের রেকর্ডের রাতে খেলোয়াড় ও কোচও রেকর্ড গড়েছেন। খেলোয়াড়দের মধ্যে যৌথভাবে সর্বোচ্চ চ্যাম্পিয়ন এখন দানি কারভাহাল ও লুকা মদরিচ। সমান পাঁচটি করে সুপার কাপের ট্রফি তাদের নামের পাশে।
তবে একটা কীর্তিতে সতীর্থ কারভাহালকে পেছনে ফেলেছেন রিয়ালের অধিনায়ক মদরিচ। রিয়ালের হয়ে এখন সর্বোচ্চ শিরোপার মালিক তিনি। ২৭ শিরোপা নিয়ে চূড়া এখন ক্রোয়েশিয়ার মিডফিল্ডার। ২৬টি করে শিরোপা কারভাহাল ও সদ্যঃবিদায়ি অধিনায়ক নাচোর। সব মিলিয়ে এক ক্লাবের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
৩৫ শিরোপ নিয়ে সবার ওপরে যৌথভাবে বার্সেলোনার সাবেক প্লেমেকার লিওনেল মেসি ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কিংবদন্তি রায়ান গিগসের। পুরো ক্যারিয়ার মিলে ৪৫ শিরোপা নিয়ে সবার ওপরে আর্জেন্টিনার অধিনায়ক মেসি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্রাজিলের ডিফেন্ডার আলভেসের ৪৩টি।
রিয়ালের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নেপথ্যের কারিগর কার্লো আনচেলত্তিও রেকর্ড গড়েছেন। আগে থেকেই ইউরোপিয়ান কাপ অথবা চ্যাম্পিয়নস লিগের সর্বোচ্চ (পাঁচবার) চ্যাম্পিয়ন হওয়া কোচ এবার উয়েফা সুপার কাপের রেকর্ডও নিজের করে নিয়েছেন। পাঁচ শিরোপা নিয়ে ইতালিয়ান কোচ এখন চূড়ায় অবস্থান করছেন। পেছনে ফেলেছেন চারবারের চ্যাম্পিয়ন কোচ পেপ গার্দিওলাকে।
আরেক জায়গাতেও স্প্যানিশ কোচ গার্দিওলাকে পেছনে ফেলেছেন ‘ডন’ আনচেলত্তি। খেলোয়াড় এবং কোচ হিসেবে তার নামের পাশে ছয় ট্রফি। এসি মিলানের হয়ে খেলোয়াড় হিসেবে একবার চ্যাম্পিয়ন হন ৬৫ বছর বয়সী কোচ। এরপর কোচ হিসেবে এসি মিলানের হয়ে দুইবার। আর বাকি তিনবার রিয়ালের হয়ে। অন্যদিকে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন গার্দিওলা। বার্সেলোনার হয়ে খেলোয়াড় হিসেবে একবার। পরে কাতালানদের কোচ হিসেবে দুইবার। আর বাকি দুটি শিরোপা জেতেন বায়ার্ন মিউনিখ ও ম্যানচেস্টার সিটির কোচ হিসেবে।