স্পোর্টস ডেস্ক: বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশ টি-২০ দলকে ঢেলে সাজানোর বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নিলেও তেমন একটা সফল হতে পারেনি বিসিবি।
তবে দেরিতে হলেও টি-২০ দলকে আবার সাজাতে উদ্যোগ নিল দেশের ক্রিকেটের এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা। আসছে জিম্বাবুয়ে সফরেই দেখা যেতে পারে বেশ কিছু পরিবর্তন।
বিসিবির একজন পরিচালক জানান, সাকিব আল হাসানকে অধিনায়ক আর নুরুল হাসান সোহানকে সহ-অধিনায়ক করা হচ্ছে টি-২০ দলে। সাকিবকে বলা হবে জিম্বাবুয়েতেই দলের নেতৃত্ব বুঝে নিতে। তিনি রাজি না হলে সহ-অধিনায়ক সোহান নেতৃত্ব দেবেন তিন ম্যাচের সিরিজে।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন রাজি হলে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারবে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ, জানালেন ঐ কর্মকর্তা।
তিন ম্যাচ টি-২০ এবং তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ দল ২৬ জুলাই জিম্বাবুয়ে উড়াল দিবে। ৩০ জুলাই এবং ১ ও ২ আগস্ট হবে টি-২০ ম্যাচ।
৫, ৭ ও ১০ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে ওয়ানডে। দ্বিপক্ষীয় এ সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করা হতে পারে আজ।
টি-২০ দলে যদি পরিবর্তন আসে তবে কি মাহমুদউল্লাহ দলে জায়গা হারাচ্ছেন? কিউ বা হবে সিনিওর ক্রিকেটারদের?
জাতীয় নির্বাচক কমিটির একজন সদস্য জানান, “টি২০-তে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে মুশফিককে বিশ্রামে রাখার কথা ভাবা হচ্ছে। প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোরও সায় আছে বোর্ডের এই পরিকল্পনায়। তাই নির্বাচক কমিটির দিক থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে বিসিবি সভাপতিকে রাজি করাতে।”
তিনি আরো বলেন, “জিম্বাবুয়ে সফরটিকে দেখা হচ্ছে টি-২০ বিশ্বকাপের পরীক্ষা-নিরীক্ষার সিরিজ হিসেবে। মূলত ব্যাটিং লাইনআপ ঠিক করতেই অপেক্ষাকৃত তরুণ ক্রিকেটারদের ম্যাচ খেলার সুযোগ দেয়ার পরিকল্পনা কোচিং স্টাফের। জাতীয় দল নির্বাচক কমিটির নির্দেশনায় সেভাবে স্কোয়াড গড়ছেন নির্বাচক প্যানেল।”
এদিকে উইন্ডিজ সফরে হজ পালনের জন্য সিনিয়রদের মধ্যে মুশফিকুর রহিম দলে ছিলেন না। তবে মুশফিক নিজে থেকেও টি-২০ ছেড়ে দিতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। সবকিছুই আসলে নির্ভর করছে বিসিবি সভাপতি পাপনের ওপর।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিসিবির একজন কর্মকর্তা বলেন, 'মাহমুদউল্লাহ গত পাঁচ বছরে এমন কী করেছে যে, টি২০ দলে রাখতে হবে। নিজেরা তো পারফর্ম করছেই না, উল্টো দলকে এলোমেলো করে দিচ্ছে। নিজেরা টিকে থাকার জন্য জুনিয়রদের সব সময় চাপে রাখে তারা। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, মাহমুদউল্লাহকে বাদ দিতে এত ভয় কিসে? ওকে জিম্বাবুয়ে সফরে নিতে হলে বিশ্বকাপ দলেও থাকবে। তেমন কিছু ঘটলে খুবই খারাপ হবে।'
জিম্বাবুয়ে সিরিজটি দল গোছানোর হলেও একেবারে নতুন মুখ নেওয়ার সম্ভাবনা কম। জাতীয় দলের পরিচিত মুখদের নেয়া হবে বিশ্বকাপ মাথায় রেখে। ব্যাটার ইয়াসির আলী রাব্বি এবং পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকেও জিম্বাবুয়ে সফরের জন্য ফিট করার চেষ্টা করছে বিসিবি মেডিকেল বিভাগ। রাব্বি ফিটনেস নিয়ে কাজ করছেন। আর সাইফউদ্দিনকে দিল্লি পাঠানো হচ্ছে কোমরে ইনজেকশন নেওয়ার জন্য। ভিসা পেতে দেরি হওয়ায় ভারত যাওয়াও বিলম্ব হচ্ছে কিছুটা। আজ জানা যাবে দিল্লি কবে যেতে পারবেন এ পেসার।
সাইফউদ্দিন জানান, “ফিল্ডিং এবং ব্যাটিং নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। বোলিংয়ের সময় কিছুটা ব্যথা অনুভব করেন তিনি। ইংল্যান্ডের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথানাশক ইনজেকশন নিতে বলা হয়েছে তাঁকে। তবে এ দু'জনকে দলে নেয়া না নেয়া নির্বাচকদের ব্যাপার।”
বাংলাদেশ টাইগারে ভালো করায় পেসার হাসান মাহমুদকে দলে ফেরানো হতে পারে। টেস্ট এবং ওয়ানডের পর টি-২০তে নিয়মিত করা হতে পারে মেহেদী হাসান মিরাজকে।