২০১৩ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জীবনীধর্মী ছবি ‘আপসহীন’ নির্মাণ শুরু করেছিলেন গীতিকার, প্রযোজক ও পরিচালক গাজী মাজহারুল আনোয়ার। কিন্তু কয়েক দিন শুটিংয়ের পর ছবিটির আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর হঠাৎ প্রকাশ্যে আসে খালেদা জিয়ার সেই বায়োপিক মুক্তির খবর। শনিবার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় ছবিটির প্রধান চরিত্রের অভিনয়শিল্পী ও প্রযোজক হেলাল খান জানালেন, খালেদা জিয়ার বায়োপিক মুক্তির খবরটি একেবারে ভিত্তিহীন।
বিষয়টি নিয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হেলাল খান জানান, ‘আপসহীন’ মুক্তির খবরটি কিছু অনলাইন, ইউটিউবসহ মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ভিত্তিহীন ও দুরভিসন্ধিমূলক।
তিনি বলেন, বায়োপিক নির্মাণ নিয়ে ২০১৩ সালে বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গাজী মাজহারুল আনোয়ার ভাই ও আমি পরিকল্পনা করেছিলাম। তৎকালীন সময়ে কিছু শুটিংও করা হয়েছিল। সে সময় রাজনৈতিক মামলায় আমি গ্রেপ্তার হই।
‘২০১৩ সাল এর পর ২০১৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচন এবং তারপরবর্তী সময় থেকে এখন পর্যন্ত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। গণতন্ত্র ব্যাহত হয়েছিল। মিথ্যা সাজানো মামলায় প্রহসনের রায়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা প্রদান করা হয়েছিল এবং তার সুচিকিৎসা বাধাগ্রস্থ করা হয়েছিল।
গাজী মাজহারুল আনোয়ারের একমাত্র ছেলে সরফরাজ আনোয়ার উপলের সাথেও এ নিয়ে কথা বলেন হেলাল খান।
পাঠানো বিবৃতিতে উপলের বক্তব্যও তুলে ধরা হয়। সেখানে উপল বলেন, ‘‘২০১৩ সালে ‘আপসহীন’ বায়োপিক নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন আমার বাবা ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা হেলাল খান। সে সময় কিছু শুটিং হলেও রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনে পরবর্তীকালে বায়োপিক নির্মাণ সম্পন্ন বন্ধ থাকে। সুতরাং যে ছবির শুটিং সম্পন্ন হয়নি, সেটা মুক্তি কীভাবে পাবে?
জানা যায়, খালেদা জিয়ার বায়োপিকটিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয়ের কথা ছিলো চিত্রনায়িকা নিপুণের।