সিলেট গ্যাসক্ষেত্রের ১০ নম্বর কূপ থেকে দৈনিক ১৫ থেকে ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। ছয় মাসের মধ্যে পাইপলাইনের কাজ সম্পন্ন হলে এই গ্যাস জাতীয় গ্রিডে দেওয়া যাবে।
বিষয়টি কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের (এসজিএফএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘কূপটি খননের কাজ শেষ করে এখন টেস্টিং চলছে।
তিনি আরো বলেন, ‘কূপটিতে প্রায় ৪৫ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের মজুদ পাওয়া গেছে। যার বর্তমান সর্বনিম্ন মূল্য তিন হাজার ৭০০ কোটি টাকা।’ তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) আমদানি মূল্য হিসাবে যার দাম প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা দাঁড়াবে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান।
এসজিএফএল সূত্রে জানা গেছে, গত জুনে সিলেট-১০ নম্বর কূপে খননকাজ শুরু হয়। ১৪৯ কোটি টাকায় কূপটি খনন করে চীনা কম্পানি সিনোপ্যাক। সিলেট হরিপুর গ্যাসফিল্ডে মোট ৯টি গ্যাস কূপ রয়েছে। এবার ১০ নম্বর কূপ থেকে উত্তোলন শুরু হবে।
এদিকে গত ২২ নভেম্বর সিলেটের কৈলাসটিলায় পরিত্যক্ত ২ নম্বর কূপ থেকে গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ শুরু হয়।
জ্বালানি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের শুরুতে স্থলভাগে গ্যাস উৎপাদন বাড়াতে ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৬টি কূপ খননের পরিকল্পনা নিয়েছিল পেট্রোবাংলা। এসব কূপ থেকে ৬১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই কূপ খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ১৯৫৫ সালে সিলেটের হরিপুরে প্রথম গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর আবিষ্কার হতে থাকে একের পর এক গ্যাসক্ষেত্র। বর্তমানে এসজিএফএলের আওতায় পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে। এগুলো হলো—হরিপুর গ্যাসফিল্ড, রশিদপুর গ্যাসফিল্ড, ছাতক গ্যাসফিল্ড, কৈলাসটিলা গ্যাসফিল্ড ও বিয়ানীবাজার গ্যাসফিল্ড।