ঢাকা: ধার করে কোনো সমাজব্যবস্থা চলে না মন্তব্য করে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, সমাজব্যবস্থা চলবে দেশের মানুষ কী চায় তার ওপর ভিত্তি করে। মানুষের ইচ্ছার ওপর দিয়ে সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে পাবনা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন পাবনা প্রেস ক্লাবের আজীবন সদস্য। সত্তরের দশকে তাঁর ছাত্ররাজনীতির প্রসঙ্গ টেনে তিনি অনেক গুণী সাংবাদিক এবং বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, অনেক মতবাদ দেখেছি, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছি মুজিবাদর্শ বা মুজিববাদের ওপর বিশ্বাস করেই। তখন কোনো মতবাদই কাজে লাগেনি। একমাত্র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চিন্তাধারাই কাজে লেগেছে। তাঁর নেতৃত্বে আমরা মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছি এবং দেশ স্বাধীন করেছি।

রাষ্ট্রপতি তাঁর সাংবাদিকতাজীবনের বিভিন্ন স্মৃতিচারণা করে বলেন, অনেক গৌরবোজ্জ্বল দিন এই প্রেস ক্লাবে অতিবাহিত করেছি। বিভিন্ন সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। ৭০-৭৫ জনকে চাকরি দিয়েছি, কিন্তু কোনো প্রতিদান নিইনি। সব সময় ত্যাগের রাজনীতি করেছি, কোনো ভোগের রাজনীতি করিনি।

মো. সাহাবুদ্দিন দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন গত ২৪ এপ্রিল এবং রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিজ জেলা পাবনায় এটাই তাঁর প্রথম সফর। দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তিনি দল-মত-নির্বিশেষে সব সাংবাদিকের ঐক্যবদ্ধ সহযোগিতা কামনা করেন।

এর আগে রাষ্ট্রপতি প্রেস ক্লাব চত্বরে পৌঁছলে ক্লাবের নেতারা ফুল দিয়ে তাঁকে শুভেচ্ছা জানান। পাবনা প্রেস ক্লাব সভাপতি এ বি এম ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময়সভায় বক্তব্য দেন মাছরাঙা টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং পাবনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু, প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ শিবজিত নাগ, সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল ইসলাম রবি এবং সাধারণ সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ প্রমুখ। 

এর আগে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আজ পাবনার বিসিক শিল্পনগরীতে ‘স্কয়ার লাইফসাইন্স লিমিটেড’-এর ফলক উন্মোচন করেন। রাষ্ট্রপ্রধানসহ তাঁর সংশ্লিষ্ট সচিবরা সেখানে এক দোয়া অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের চার দিনের পাবনা সফরের দ্বিতীয় দিনে আজ সকালে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) নগরী পরিদর্শন করেন।

রাষ্ট্রপতি সেখানে পৌঁছলে তাঁকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান স্কয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান স্যামুয়েল এস চৌধুরী। সঙ্গে ছিলেন স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী, স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেড ও স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা অঞ্জন চৌধুরী। পরে রাষ্ট্রপতি ‘স্কয়ার লাইফসাইন্সেস লিমিটেডে’র উৎপাদন এলাকা পরিদর্শন করেন। সূত্র : বাসস