ঢাকা: বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রুপির মাধ্যমে লেনদেনে বাণিজ্যিক অংশীদারত্বে নতুন মাত্রা যুক্ত হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। তিনি বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য বাড়াতে নতুন প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ও সরবরাহ চেইন খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। একই সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে নতুন নতুন ক্ষেত্রে উদ্ভাবনের চেষ্টাও রয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (০২ মে) উন্নয়ন সমন্বয়ের আয়োজনে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বাণিজ্যে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হয়ে উঠবে বাংলাদেশ মন্তব্য করে প্রণয় ভার্মা বলেন, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি কানেকটিভিটিতে জোর দিয়েছেন। রেল, সড়ক, নৌ, বিমান যোগাযোগ বাড়ালে উভয় দেশই লাভবান হবে।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি এক বিলিয়ন ডলার থেকে প্রায় দুই বিলিয়নে উন্নীত হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট (সেপা) করার জন্য কার্যক্রম চলছে।

সেমিনারে উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন। মূল নিবন্ধে তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বিশেষত, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রত্যাশিত মাত্রায় বৃদ্ধির জন্য স্থলবন্দর, সমুদ্রবন্দর, কনটেইনার টার্মিনাল, ইত্যাদির সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি যোগাযোগ অবকাঠামোর ব্যাপকভিত্তিক ইতিবাচক রূপান্তর দরকার। গত বছর প্রথমবারের মতো নারায়ণগঞ্জে ভারতীয় কার্গো জাহাজ আসতে শুরু করার মতো ইতিবাচক উদ্যোগগুলো দৃশ্যমান হচ্ছে।

সেমিনারে সভাপতিত্বের বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী উভয় দেশের মধ্যে কানেকটিভিটিতে জোর দিয়েছেন। বিশেষ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের সঙ্গে থ্রি সির কথা বলেছেন। এই থ্রি সি হলো কমার্স, কালচার ও কানেকটিভিটি।

সেমিনারে প্যানেল আলোচনায় আরো বক্তব্য দেন সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান ও প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহসান খান চৌধুরী।